নয়াদিল্লি : শুধুমাত্র অফিস কর্মচারীদেরই নয়, তাদের পরিবারের লোকজনদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। এই মর্মে নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পাশাপাশি তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা যাবে।


কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আগে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, সেখানে বলা ছিল সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। যে নির্দেশে বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীদের টিকাকরণের কথা বলা হলেও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভ্যাকসিনেশন প্রসঙ্গে কোনও উল্লেখ ছিল না।


কেন্দ্রের যে নির্দেশের পরই বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্যিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও টিকাকরণের ব্যবস্থাপনাও সংযুক্তিকরণের আবেদন রাখা হয়েছিল। কার্যত সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়ে সংশোধিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। যেখানে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের ওপর নির্ভরশীল সবাই এই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় পড়বেন। কর্মচারীর অভিভাবক, স্বামী, স্ত্রী, সন্তানরা থাকবেন এই তালিকায়।


কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে বার্তা দেওয়া হয়েছে তারা যাতে সুবিধামতো হাসপাতালের সঙ্গে এই টিকাকরণ প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় চুক্তি করার পথে হাঁটতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


এই মুহূর্তে দেশের শুধুমাত্র ৪৫ বছরে ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের বেশিরভাগ জায়গায় টিকাকরণ চালানো সম্ভব হচ্ছে। দেশের ১৮ বছরের বেশী বয়সিদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়ে গেলেও ভ্যাকসিন অপ্রতুলতার জেরে  সব জায়গায় তা হচ্ছে না। অনেক জায়গাতেই ভ্যাকসিনের অভাবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।


দেশজোড়া ভ্যাকসিন ভোগান্তির মধ্যে ক্রমাগত টিকার টানাটানি মেটানোর চেষ্টা চললেও অভাব ঢাকা সম্ভব হচ্ছে না এখনও। দেশের একাধিক জায়গায় ছবিটা একই। এর মাঝে দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের কাজ এগোতে পারলে কোভিড যুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে গোটা দেশেই সংক্রমিত, মৃতের সংখ্যা রোজি বেড়েই চলেছে।