কলকাতা : এসএসকেএমে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এমনই গুরুতর অভিযোগ আনলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন তৃণমূল নেতার বান্ধবীর কথায়, ‘বিভিন্ন পরীক্ষার নাম করে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে এসএসকেএমে। সামান্য সুগার-প্রেশার পর্যন্ত সকাল থেকে দেখা হয়নি।’


নারদ মামলায় প্রথমে জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর প্রেসিডেন্সি জেলে গেলেও অসুস্থতা বোধ করায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। কিন্তু সেখানে সিবিআই হেফাজতের থেকেও খারাপ অবস্থায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর আরও অভিযোগ, 'বারবার অনুরোধ, বন্ড দিয়ে ছাড়ানোর কথা বললেও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। রাগে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।'


পাশাপাশি শোভনের ঠিকানায় গোলপার্কের ফ্ল্যাটের বদলে পর্ণশ্রীর বাড়ির ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। অভিযোগ সত্বেও একাধিক 'লোকজন' শোভনবাবু সঙ্গে দেখা করতে ঢুকে পড়ছেন বলেও অভিযোগ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ আর্জি, 'মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে প্রার্থনা করছি, ওঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।'


এসএসকেএমে হেনস্থা ও রাজ্যের দিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে পাল্টা তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মুখপাত্রের চাঁচাছোলা ভাষায় বলেছেন, 'অকারণ নাটক হচ্ছে। কেন ছাড়া হচ্ছে না বলে চোখের জলে ভাসালাম, ওসব যাত্রাপালা করার জায়গা নেই। পরিষ্কার জানাতে চাই, এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই, তৃণমূল তো ত্রিসীমানাতেই নেই।'


পাশাপাশি কুণাল ঘোষের ব্যাখ্যা, 'শোভনবাবু অসুস্থ বলেই জেলে পাঠানো হয়েছিল। আর এখন হঠাৎ নিজেই বলছেন সুস্থ। উনি সুস্থ কি না সেটা ঠিক করার পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থা দেখবে হাসপাতাল। উনি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে ওনাকে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে হবে। সুপার সেখান থেকে তাঁর অফিশিয়াল অ্যাড্রেসে পাঠাবেন। শোভনবাবু তাঁর মামারবাড়ির বাগানে পায়চারি করছে না। নিয়ম বলছে, রিস্ক বন্ড সই করার জায়গায় তিনি নেই।'


পরে এসএসকেএমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষকে নিশানা করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তোপ, ‘ক্লাস টেন পাস, হনুমানের মতো লঙ্কা পুড়িয়ে দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করছেন। বৈশাখী সম্পর্কে মন্তব্যের আগে, তাঁর নখের যোগ্য হোন।’