কলকাতা: এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ইউনিটে মৃত্যু ৪ জনের। মৃত্যু ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ পরিবারের। প্রৌঢ়ের পরিবারের অভিযোগ, ৩ দিন আগে ফোন করে তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন যে তাঁর মুখের অক্সিজেন মাস্ক খুলে গিয়েছে। এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও সমস্যার সমাধান করেনি। উল্টে ওই ব্যক্তির মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। তারপর আজ তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। পাশাপাশি পরিকাঠামোর অভাব ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন অন্য পরিবারগুলি।


ওই পরিবারের অভিযোগ, কেন ভেতরের খবর বাইরে যাচ্ছে তাই মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। মোবাইল কাছে থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত বলে দাবি পরিবারের। একইসঙ্গে কোভিড ইউনিটে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ় দম্পতির মৃত্যু। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রৌঢ়দের চিকিসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আরেক রোগীর রক্তের রোগের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হন। পর্যাপ্ত রক্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। এদিক ৪ করোনা আক্রান্তের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও হাসপতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তথ্য নেই।


এদিকে রাজ্যজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে এবার বন্ধ থাকা সেফ হোম এবং কোয়ারান্টিন সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। আজ থেকে চালু হল সার্ভে পার্কের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কোয়ারান্টিন সেন্টার। ১২০ জন করোনা রোগীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


ইতিমধ্যে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগীদের সুবিধার জন্য আনা হয়েছে পাখাও। ডাক্তার সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। অন্যদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভায় আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ১৪৪টি ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। এতদিন পর্যন্ত ১২০টি ওয়ার্ডে চলত ভ্যাকসিনেশন। বেশ কিছু হোটেলেও কোয়ারান্টিন সেন্টার বা সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সেখানেই করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হবে।


অন্যদিকে ভোটের আগে একের পর এক প্রার্থী করোনার কবলে। করোনায় আক্রান্ত গোয়ালপোখরের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম রব্বানি। আপাতত হোম আইসোলেশনেই আছেন তিনি। অন্যদিকে জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থীও আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে। হাসপাতালে ভর্তি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী।