পাটনা : ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে এবার এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পাটনায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা আক্রান্তের পূর্ব পরিচিত।
করোনা ভ্যাকসিন পেতে গিয়ে এমন বিপদের মুখ পড়তে হবে, ভাবতেও পারেনি সে। ভ্যাকসিনের অছিলায় যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাটনায়। মালাসামি থানার পুলিশ দুই অভিযুক্ত রকি ও মন্টুকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ডি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। কোনওভাবে নির্যাতিতাকে ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে অভিযুক্তরা। পরে সেখান থেকেই যুবতীকে অন্য এলাকায় নিয়ে যায় তারা। তখনও বিপদের আঁচ পায়নি নির্যাতিতা। পরে একটি ফাঁকা বাড়িতে ঢুকলেই সব পরিষ্কার হয়ে যায় তার সামনে।
আক্রান্তের অভিযোগ, ওই বাড়িতে ঢুকতেই তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে থাকে দু'জন। প্রথমে তার হাত ধরে টানতে থাকে অভিযুক্তরা। কোনওক্রমে হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই হামলে পড়ে তারা। মাটিতে আছড়ে ফেলে বাঁধা হয় হাত, পা। আক্রান্তের চিৎকার যাতে বাইরে না যায় তাই মুখে গুজে দেওয়া হয় রুমাল। এরপর একে একে চলে পাশবিক নির্যাতন। পরে নির্যাতিতাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
কোনওমতে হাত-পা ছাড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয় নির্যাতিতা। পুরো বিষয়টা জানতে পেরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিয়ুক্তরা নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিয়ুক্তদের বাড়ি ঘটনাস্থান এলাকাতেই। সেই কারণেই ফাঁকা বাড়ির সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা ছিল অভিযুক্তদের।
এই ঘটনার বিষয়ে থানার আইও জানান, ইতিমধ্যেই আক্রান্তের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে পরিষ্কার ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। বর্তমানে নির্যাতিতার বয়সের বিষয়ে নিশ্চিত হচ্ছে পুলিশ। আক্রান্তের বয়স ১৮ বছরের কম হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হবে।