নয়াদিল্লি: ফের রেকর্ড করল দৈনিক কোভিড সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩০০ জন। গতকালের থেকে যা ১০০০ জন বেশি। দৈনিক কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, দেশের অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও অনেকটাই বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী ভারতে এখন অ্যাক্টিভ কেস ২৫৫৮৭ জন। যার মধ্যে কেরলেই রয়েছে ৮২২৯টি অ্যাক্টিভ কেস। দিল্লিতে ১৭৯৫টি অ্যাক্টিভ কেস। মহারাষ্ট্রে রয়েছে ৩৮৭৪টি অ্যাক্টিভ কেস।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কোভিড সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১.৬ লক্ষ কোভিড পরীক্ষা হয়েছে।ূ
কোথায় কত সংক্রমণ:
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৪০৪। হিমাচল প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ২১২ জন। তামিলনাড়ুতে সেই সংখ্যাটা ১৩০।
বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ৪৪৩৫ জন কোভিডে সংক্রমিত হয়েছিলেন। যা গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে বেশি দৈনিক সংক্রমণ ছিল। ভারতে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জন্য ওমিক্রনের XB B.1.16- এই ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টের গতিপ্রকৃতির উপর কড়া নজর রাখছে।
টিকা প্রয়োজন:
কোভিড দূরে ঠেকাতে টিকাই একমাত্র উপায়, এমনটাই বারবার বলেছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তারপরেও বুস্টার ডোজ নিয়ে গড়িসমির ছবি বারবার দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট বলছে এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি ৬৬ লক্ষ কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যেক বার যে ঢেউ গুলি আছড়ে পড়ে, তার পিছনে থাকে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপট। এবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট এবার করোনা গ্রাফে হঠাৎ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মানুষকে সতর্ক করছেন এবং প্রত্যেককে মাস্ক পরতে বলছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেদান্ত হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অফ চেস্ট সার্জারি বিভাগের চেয়রাম্যান অরবিন্দ কুমার পরামর্শ দেন, মাস্ক পরুন এবং যদি কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে কোভিড টেস্ট করিয়ে নিন। যেসব রোগী গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক হতে পারে। তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ভালবেসেছিলেন ভারতীয় যুবককে, কানাডা থেকে বিয়ে করতে এসে সেই প্রেমিকের হাতেই খুন যুবতী