মধ্যপ্রদেশ: করোনায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে মাসে ৫,০০০টাকা পেনশন ঘোষণা করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, যে সমস্ত পরিবার দরিদ্র এবং কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাবা-মা বা অভিভাবক মারা গিয়েছে এমন শিশুদের সাহায্য করবে সরকার। 


বর্তমানে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, 'করোনা বহু পরিবারকে ভেঙে দিয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই পরিবারের উপার্জন সদস্যকে কেড়ে নিয়েছে করোনা। এমনকী বয়স্ক মানুষরাও একা পড়ে রয়েছেন, তাঁদের দেখার মতোও কেউ নেই। কোথাও আবার শিশুরা বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে গিয়েছে। সব দিক বিচার করে এই পরিবারগুলোকে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। যাতে কারও সাহায্য ছাড়াই তাঁরা  বাঁচতে পারে।' 


শিবরাজ চৌহান আরও জানিয়েছেন, যে সমস্ত শিশুরা এই পরিস্থিতিে সমস্যায় পড়েছে তাঁদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করবে সরকার। যাতে স্কুলের পড়াশোনা বন্ধ না হয়ে যায়। পাশাপাশি এইসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বিনৈমূল্যের রেশনের আওতায় না থাকলেও তাঁদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। 


এখানেই শেষ নয়, অসহায় মহিলাদেরও সাহায্যের কথা জানিয়েছে মধ্য়প্রদেশ সরকার। জানানো হয়েছে, যে সমস্ত মহিলারা করোনায় সঙ্কটে পড়েছেন তাঁদের সুদ ছাড়াই লোন দেবে সরকার। এবং গ্যারেন্টার হিসেবেও সরকারই থাকবে। যাতে এই মহিলারা সেই লোনের টাকায় নতুন করে জীবীকা শুরু করতে পারেন। 


করোনা সংক্রমণে জেরবার দেশ। ভয়াবহ অবস্থা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার রুঞ্জ নদীতে ভাসছে ৬ টির বেশি মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। করোনায় মৃত্যুর পর দেহ সৎকার না করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা করেন স্থানীয়রা। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার নন্দনপুর গ্রামে উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া। ফলে সেখান থেকে দেহগুলি ভেসে এসেছে কি না, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়। ৩-৪ দিন নদীতে মৃতদেহ ভাসলেও প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ জানায় স্থানীয়রা।