নয়াদিল্লি: ৩ মাস অন্তর হওয়ার কথা জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক অথচ ৬ মাস হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ডাকা হল না জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক?  বার এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।


শেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২০-র অক্টোবর মাসে।  তারপর থেকে আর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়নি। বৃহস্পতিবার ওই চিঠিতে অমিত মিত্র কেন্দ্রকে দ্রুত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, 'নিয়মিত বৈঠক না ডাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।' পাশাপাশি চিঠিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আর্থিক ঘাটতি আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অমিত।


বৃহস্পতিবার চিঠিতে বাংলার অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, গত ২০২০-র ৫ অক্টোবর শেষ এই বৈঠক হয়েছিল। এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলেই চিঠিতে দাবি করেছেন অমিত। করোনা আবহে অবিলম্বে জিএসটি কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছেন তিনি।


চিঠিতে সাধারণ মানুষকে প্রতারণারও অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কাউন্সিলের নিয়ম উল্লেখ করে অমিত মিত্র লিখেছেন,  'সংবিধানের ২৭৯এ এবং ২৭৯এ (৮) অনুচ্ছেদ মেনেই প্রতিবছর ৪ বার এই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা উচিৎ'। 


উল্লেখ্য, চিঠিতে প্রসিডিওর অ্যান্ড কনডাক্ট অব রেগুলেশন অব দ্য গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কাউন্সিল-এর ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের কথাও উল্লেখ করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।


এবারেও রাজ্যের অর্থ দফতরের দায়িত্ব গিয়েছে অমিত মিত্রের কাছেই।
অসুস্থ হওয়ার কারণে এবার ভোটে লড়াই করেননি অমিত মিত্র। তাঁর কেন্দ্র খড়দাতে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছিল কাজল সিনহাকে। কিন্তু খড়দা আসনে ভোট হয়ে যাওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। ভোট গণনায় খড়দা আসনে বিজয়ী হয়েছেন প্রয়াত কাজল সিনহা। তাঁর মৃত্যু হওয়ায় ওই আসনে  পুনর্নিবাচন হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই আসনে প্রার্থী হবেন অমিত মিত্র।


২০১১-তে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন অমিত মিত্রর হাতে। ২০১৬-র নির্বাচনে খড়দা থেকে জয়ী হয়ে অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন অমিত মিত্র। এবার সশরীরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেননি তিনি। ভার্চুয়ালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় শপথ বাক্য পাঠ করান অমিত মিত্র সহ ব্রাত্য বসু ও রথিন ঘোষকে।