কলকাতা : অকালে চলে গেলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা সাংবাদিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। শোকস্তব্ধ পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীরা। কোভিড-কালে  তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সাহিত্য ও সংবাদজগতে। মৃত্যুকালে শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
গতকাল রাতেই ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন জলরঙে আঁকা ছবি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন-'ওরে ঝড় নেমে আয়'। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই জীবন-মৃত্যুর ঝড় এলোমেলো করে দিল সবকিছু। 


ফেসবুকে এই পোস্ট। আর তারপর মর্মান্তিক দুঃসংবাদ। ফেসবুকে তাঁদের মন্তব্যে অনুরাগীরা তাঁদের মর্মবেদনার কথা জানিয়েছেন। অনেকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। 
পরিবারসূত্র উল্লেখ করে জানানো হয়েছে যে, শীর্ষর ডায়েবেটিস ছিল। গতকাল রাতেও সুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরই ঘটে যায় অঘটন। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বাংলা ভাষায় একাধিক দৈনিক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করেছেন তিনি।
বেশ কিছু উপন্যাস ও ছোটগল্প, প্রবন্ধ লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা উপন্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম শার্দূলসুন্দরী।  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস ইথারসেনাও তাঁর উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। 


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই  প্রয়াত হয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কিছুদিন আগেই ভর্তি হন হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯টা ২৫-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার রাত ৯.২৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত ১৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সেরেও উঠেছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফিরেও এসেছিলেন বাড়িতে। কিন্তু ফের জ্বর আসতে শুরু করে। জ্বর না কমায় তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে ভেন্টিলেশন এবং পরে একমো সাপোর্ট দেওয়া হয়। রবিবার রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।