নয়াদিল্লি: ভয়াবহ আকার নিয়েছে ভারতের করোনা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় প্রতিদিন বহু মানুষ হাসপাতালে ছুটছেন। কেউ যাচ্ছেন রোগী ভর্তি করাতে, কেউ যাচ্ছেন পরীক্ষা করাতে। কেউ আবার করোনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে। আর তাতেই আশঙ্কার মেঘ তৈরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে হাসপাতালের বাইরে মানুষের জমায়েত সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলছে বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের।


দেশের হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে অক্সিজেনের সংকটের ছবি দেখা গিয়েছে। এমনকি হাসপাতালের বেড না থাকার জেরে ভর্তি করা যাচ্ছে না করোনা আক্রান্তদের। গত কয়েক দিনে এই খবরও সামনে এসেছে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জ্যাসারিভিক জানিয়েছেন, জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ভারতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে একাধিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার কনসেনট্রেটরস। ওই ব্যক্তি বলেন, সারা ভারতে যতজন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৫ শতাংশের হাসপাতলে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। তার থেকেও কম শতাংশ মানুষের প্রয়োজন অক্সিজেন।


তাঁর কথায়, ভারতের সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও একটি সমস্যা হচ্ছে বহু মানুষ একসঙ্গে হাসপাতালে জমায়েত করছেন। এই জমায়েত থেকেও সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র বলছেন, অনেকের কাছেই সঠিক তথ্য নেই। বা করোনা পরিস্থিতিতে কী করা উচিত সে সম্পর্কে অবগত নন বহু মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি না হয়েও বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা সম্ভব।


এক্ষেত্রে কমিউনিটি সেন্টারগুলিকে করোনা সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তথ্য তালিকা তৈরি করার জন্য ড্যাশবোর্ড প্রস্তুত করতে পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র। যার মধ্যে সাধারণ মানুষ তথ্য পাবেন। ফলে হাসপাতালের অহেতুক ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে।


আজ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনের সংক্রমণের সংখ্যা ফের একবার ৩ লক্ষ ছাড়াল ভারতে ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত ৩,২৩,১৪৪ জন ৷ মৃত্যু হয়েছে ২৭৭১ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,৫১,৮২৭ জন।