হাওড়া: রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব নেই। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি অক্সিজেনের অভাব যাতে না হয়, তাই জন্য রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সেটাও বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাজ্যের ১০৫টি হাসপাতালে পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। আরও ৪১টি হাসাপাতালে করা হচ্ছে পাইপলাইনের ব্যবস্থা হচ্ছে। রাজ্যে আরও ৫৫টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে।'
পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলিকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে বিজ্ঞতিতে বলা হয়েছে,‘হাসপাতালগুলি প্রয়োজনে অক্সিজেনের পাইপলাইন সম্প্রসারণ করতে পারবে’। এছাড়া অক্সিজেন সরবরাহে এলাকাভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।
গতকালই আরও ৯৩টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যের। ইতিমধ্যেই ৫টি প্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। পাইপলাইনের মাধ্যমে সব হাসপাতালে অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করতেই যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের লিখিত অনুমতি নিয়ে কোভিড মোকাবিলায় নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে হাসপাতালের বেড সহ পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট নেন তিনি।
জানা গিয়েছিল, কিশোর ভারতী ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে সেফ হোম করবে মেডিকা। হজ সেন্টারে সেফ হোম করবে চার্নক হাসপাতাল। ২০০ বেড হবে বলে জানানো হয়েছিল। আর এন টেগোরের সল্টলেক ক্যাম্পাসেও হবে সেফ হোম। সূত্রের খবর, দুটি ক্যাম্পাসেই বেড বাড়াবে আমরি।
এদিকে, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে যদি কোনও পরিবারের উপার্জন করে এমন সদস্য কোভিডে মারা যায় যেমন- মা অথবা বাবা, সেই পরিবারে ৬ বছর থেকে ১৪ বছরের সন্তান থাকলে তাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়িত্ব নিতে রাজি।
এমনিতেই রাজ্যে রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় স্থান সংকুলান বেশ কিছু হাসপাতালের বেডে। সেই অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও যাতে কোনওভাবেই অক্সিজেন নিয়েও কোনও রোগীকে সমস্যায় পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।