নয়া দিল্লি: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত ৬৫০। মৃত ও আহতর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ। গ্যাসকাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে চলছে উদ্ধারকাজ। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় জনতা পার্টির সংসদ সদস্য বরুণ গান্ধী বিজেপির সাংসদদের বার্তা দিয়েছেন  নিহত ও আহতদের পরিবারকে তাদের বেতনের একটি অংশ দেওয়ার জন্য। 


করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকে হৃদয় বিদারক বলে উল্লেখ করে পিলভিটের সাংসদ বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের উচিত নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। তিনি ট্যুইটে বলেন, 'ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা হৃদয়বিদারক। আমাদের উচিত শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আমি আমার সহ সাংসদদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যে আমাদের বেতনের একটি অংশ দিয়ে শোকাহত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য দেওয়া হোক।' 






বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের পাশাপাশি, রেলওয়ে সেফটি কমিশনারও তদন্ত করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। রেলমন্ত্রীর দাবি, এই মুহূর্তে উদ্ধারকাজকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।                                


শুক্রবার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানগা বাজার স্টেশনে সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ভদ্রকের দিকে যাচ্ছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়াগামী যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের অভিমুখ ছিল বালেশ্বরের দিকে।করমণ্ডলের বাঁ দিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষে তালগোল পাকিয়ে যায় ৩টি ট্রেন। খেলনা গাড়ির মতো উল্টে যায় ট্রেনের একের পর এক কামরা।মালগাড়ির ওপর উঠে গিয়েছে করমণ্ডলের ইঞ্জিন। ট্রেনের পিছনের কামরাগুলি দুমড়ে মুচড়ে তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে। তার ভিতরে মৃতদেহের স্তূপ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। ট্রেনের ফাঁকে বা রেললাইনে আটকে দেহাংশ, কাটা হাত-পা। 


আরও পড়ুন, মৃত্যুনগরী বালেশ্বর! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৫