বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জে। কর্মসূত্রে বেলুড়ের আশুতোষ মুখার্জি রোডে ফ্ল্যাটে বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন ৩০ বছরের নরোত্তম কুয়ার সিং। সম্প্রতি দিদার মৃত্যু হওয়ায়, তাঁর বাবা-মা বিহারে যান। স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন নরোত্তম। তাঁর বাবা দাবি করেছেন, আজ সকালে ছেলে ফোন করে তাঁকে জানান, বৌমা আত্মহত্যা করেছেন। একথা বলেই কেটে দেন ফোন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িওয়ালাকে ফোন করেন নরোত্তমের বাবা। ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
বাড়িওয়ালা বাপি দেবনাথ জানিয়েছেন, বিহার থেকে নরোত্তমের বাবার ফোন পেয়ে খবর নিতে যান তিনি। ওঁরা দোতলায় থাকেন, সামনে থেকে গেট বন্ধ ছিল। তিনি পিছন থেকে কোনওরকমে দোতলায় উঠে দেখেন, নরোত্তম ঝুলছেন, পাশেই মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এরপর বেলুড় থানার পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘর থেকে মৃত যুবকের মোবাইল ফোনটি ভাঙা অবস্থায় মিলেছে। মহিলার গলায় ফাঁসের দাগ ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়েছিল, তাতেই রাগারাগি করে কেউ একজন মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলেন।
কিন্তু স্ত্রী কি সত্যিই আগে আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে, আত্মঘাতী হন স্বামী? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।