নয়াদিল্লি: দেশের সীমিত সংখ্যক রাজ্যের কয়েকটি জেলায় কোভিড-১৯ এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী সংক্রমণ ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে বলে অবশেষে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন। এই প্রথম সরকারি ভাবে এটা মেনে নিল কেন্দ্র। আজ সাপ্তাহিক মিডিয়ার সঙ্গে সংযোগ অনুষ্ঠান সানডে সংবাদ-এ হর্ষবর্ধন একথা বলেও একইসঙ্গে মন্তব্য করেন, এটা কিন্তু দেশব্যাপী হচ্ছে না।
কেন্দ্রের সরকার এতদিন দেশে করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ হওয়ার কথা অস্বীকার করে এসেছে। দেশ গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে এখনও পৌঁছয়নি বলে দাবি করেছে তারা। যদিও কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জুলাই মাসেই নিজের রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ হওয়ার কথা জানান। দুটি উপকূল নিকটবর্তী জেলা পুনথুরা ও পুল্লিভিলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। জুলাই-আগস্টে গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয় অসম সরকারও। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ হওয়ার উল্লেখ করে দুর্গাপূজার প্রাক্কালে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন। পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি স্বীকার করে ঘন জনবসতিপূর্ণ রাজ্যে এমনটা হওয়া প্রত্যাশিতই বলে অভিমত জানান। বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের নানা এলাকা থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর এসেছে। এটা সারা দেশে হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ সংক্রমণ চারটি স্তরে ঘটেছে। প্রথমে করোনাভাইরাস বিদেশ থেকে এদেশে এসেছে গত জানুয়ারি মাসে। ৩০জানুয়ারি কেরল থেকে দেশের প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণের খবর মেলে। দ্বিতীয় স্তরে হয় লোকাল বা স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ। এই পর্যায়ে যাদের বিদেশ যাত্রার রেকর্ড বা ইতিহাস নেই, তারা সংক্রমিত হয়েছে। তৃতীয় স্তরে হয় কমিউনিটি বা গোষ্ঠী সংক্রমণ, যখন সংক্রমণের উত্স সহজে চিহ্নিত করা যায় না। চতুর্থ পর্বে ছড়ায় মহামারী অর্থাত ব্যাপক সংখ্যায় লোকের মধ্যে সংক্রমণ ঘটে যায়।