কলকাতা: পূর্বঘোষণা মতো, শনিবার খুলল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা। পুজো দিতে ভোর থেকেই পুণ্যর্থীদের লম্বা লাইন। শনিবারের বিশেষ পুজো দিতে ভক্তদের লাইন পৌঁছে যায় স্কাইওয়াক পর্যন্ত।


সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে লাইনে দাঁড়ান ভক্তরা। থার্মাল স্ক্রিনিং, জীবাণুনাশক টানেল পেরিয়ে ভক্তদের ঢুকতে হয় মূল মন্দিরে। দূরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য, দাগ কেটে দেওয়া হয়।


আপাতত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা এবং দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। পুজো দিতে হবে গর্ভগৃহের বাইরে থেকে। ফুল, মালা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না। শুধুমাত্র ফল ও মিষ্টি দিয়ে পুজো দেওয়া যাবে। আপাতত ভক্তদের চরণামৃত দেওয়া হবে না।


গর্ভগৃহে সুরক্ষা-পোশাক পরে সেবায়েতরা। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে চলছে মা ভবতারিণীর আরতি। সংক্রমণ এড়াতে মন্দির চত্বরে দোকান খোলার বিষয়েও বিধিনিষেধ থাকছে। সব দোকান একসঙ্গে খুলতে বারণ করা হয়েছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খুলতে বলা হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন ফুড স্টলগুলিতে বসে খাওয়া যাবে না।


শ্রীরামকৃষ্ণদেবের শয়নকক্ষের ভিতরেও প্রবেশ নিষেধ। দেবালয়ে জমায়েত করা চলবে না। পঞ্চবটী সংলগ্ন বাগানেও ঢোকা যাবে না। এই সমস্ত শৃঙ্খলা অক্ষরে অক্ষরে যাতে পালন হয়, তার জন্য তৈরি পুলিশও।


আগামীদিনে করোনা সংক্রমণ কমলে এইসমস্ত সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বলে জানানো হয়েছে অছি পরিষদের তরফে।


আগামী সোমবার নিয়মবিধি মেনে ভক্তদের জন্য খোলা হবে বেলুড় মঠের দরজা। তবে মন্দিরে বসে বা ষাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করা যাবে না। প্রণাম করতে হবে দাঁড়িয়ে। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। মিলবে না আরতি দেখার সুযোগ। জানিয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষ।


লকডাউনের জেরে বন্ধ থাকার পর এদিন খুলল একান্নপীঠের এক পীঠ, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের মা বর্গভীমার মন্দির। মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, স্যানিটাইজিং টানেলের মধ্যে দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন ভক্তরা।


আর কয়েকদিন পরেই রথযাত্রা। করোনার জেরে, এবার আর রথে চেপে মাসির বাড়ি যাওয়া হবে না, কোচবিহারের মদনমোহন দেবের।
পরিবর্তে, হবে ট্রাক-যাত্রা। ফুল দিয়ে সাজানো হবে একটি ট্রাককে।


প্রতিবছর মদন মোহনের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কোচবিহারে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। এবছর যাতে এই উপলক্ষ্যে ভিড় বা জমায়েত না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে মন্দির সূত্রে খবর।