গাঁধীনগর: লকডাউনের মধ্যে মৃত্যু। তা বলে শেষকৃত্য কি থেমে থাকে? মৃতার নিজের বলতে শুধু ২ ছেলে। কিন্তু আছেন তো প্রতিবেশীরা। তাঁরাই কাঁধে করে দেহ নিয়ে গেলেন শ্মশানে। দাহ হল সব নিয়ম মেনে।

গুজরাতের ভাবনগরের পালিতানার বাসিন্দা ৭০ বছরের ওই মহিলা ও তাঁর ২ ছেলে। গোটা মুসলিম মহল্লায় শুধু তাঁরাই একমাত্র হিন্দু পরিবার। অন্য় আত্মীয়রা সকলে থাকেন আমদাবাদে। গতকাল সকালে মহিলার মৃত্যু হয়। লকডাউনের কারণে আমদাবাদ থেকে ভাবনগরে আসতে পারেননি আত্মীয়রা। তখনই এগিয়ে আসেন প্রতিবেশী ৫০ ঘর মুসলিম। মহিলারা বাড়ি এসে হিন্দু রীতি অনুযায়ী সব প্রথা সম্পন্ন করেন, পুরুষরা কাঁধে করে দেহ নিয়ে যান শ্মশানে। তাও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে।

মৃতার ছেলে রসিক ভদ্রেশ্বর বলেছেন, এই শোকের মুহূর্তে আত্মীয়রা পৌঁছতে পারলেন না বলে তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই। এই মুসলিমরা তাঁদের প্রতিবেশী। সব ধর্মেই বলেছে, প্রতিবেশীই প্রথম পরিজন।  আবার প্রতিবেশী রফিক সোলাঙ্কি বলেছেন, তাঁদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তাঁরা সব সময় এক সঙ্গে থেকেছেন। দাহ সংস্কার ও অন্যান্য কাজের জন্য কয়েকটি দোকানও খোলা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।