নয়া দিল্লি : করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট গাইডলাইন বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, আসন্ন উৎসবরে মরশুমে যাতে জমায়েত না হয় তা নিশ্চিত করুন। 


নতুন কোভিড নির্দেশিকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় পাঁচ স্তরীয় কৌশল - টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিনেশন এবং কোভিড-উপযুক্ত আচরণে মনোযোগ বজায় রাখতে বলেছে। এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, কয়েকটি রাজ্যে ভাইরাসের স্থানীয়ভাবে বিস্তার ব্যতীত জাতীয় পর্যায়ে অতিমারি পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া, কিছু জেলায় মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা এবং পজিটিভিটি এখনও উদ্বেগের বিষয়।


গাইডলাইনে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে আগামী উৎসবের মরশুমে বড় ধরনের জমায়েত এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই ধরনের বড় জমায়েত রোধ করার লক্ষ্যে স্থানীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে বলা হয়েছে। সমস্ত জনাকীর্ণ স্থানে, কোভিড-উপযুক্ত আচরণ কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত। আমাদের পাঁচ স্তরীয় কৌশল - টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিনেশন এবং কোভিড-উপযুক্ত আচরণে মনোযোগ বজায় রাখতে হবে।


প্রসঙ্গত, দেশে করোনার টিকাকরণের রেকর্ড গড়ার পর দিনই বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। ফের পাঁচশো পার করেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৭৫৯ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।  একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০৯।  


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৭০ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৪৭। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৭৫। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৮০২ জন মানুষ। একদিনে ৩১ হাজার ৩৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সামনেই উৎসবের মরশুম। তাই সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।