ওই থানার জনৈক অফিসার বলেন, ও আর কোথায় টাকাটা দেওয়া যায়, কী করে মুখ্যমন্ত্রীর করোনা ত্রাণ তহবিলের অ্যাকাউন্ট নম্বরে তা ফেলতে হয়, কিছুই জানে না। ওর কাছে নিকটবর্তী থানার লোকজনই সরকারের প্রতিনিধি। বিনোদকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে নিজেকে কেরলেরই একজন বলে মনে করে, ওদের সবার মঙ্গলের জন্য কেরল সরকারের উদ্যোগেও খুশি সে।
বিজয়নের এক মাসের বেতন দানের আবেদনে সাড়া মিললেও বিরোধী শিবির বলেছে, এটা রাজ্য মন্ত্রিসভার একতরফা সিদ্ধান্ত। বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা জানিয়েছেন, সরকার যে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা পড়া ডোনেশনের টাকা অতিমারী মোকাবিলার পিছনে খরচ করবে, এব্য়াপারে তিনি ভরসা করতে পারছেন না।
কেরলের ২০১৮-র ভয়াবহ বন্যাজনিত পরিস্থিতি সামলাতেই এই ত্রাণ তহবিল প্রথম খোলা হয়েছিল।
এদিকে গুজরাতের ভাবনগরের আমরেলির ২০০-র ওপর কৃষকও ২০০০ টাকা করে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তৈরি প্রধানমন্ত্রীর পিএম কেয়ার্স ফান্ডে দান করেছেন। কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় বছরে তিন দফায় ৬ হাজার টাকা পান তাঁরা। শেষ কিস্তির ২ হাজার টাকা পেয়েছেন সম্প্রতি। সেটাই দিলেন করোনা ত্রাণে। আমরেলির বিজেপি নেতা দিলীপ সাংঘানি জানিয়েছেন, স্থানীয় ২০০ চাষি নিজেরাই এগিয়ে এসে মাথাপিছু দুহাজার টাকার চেক জমা করেছেন আমরেলির জেলা সমবায় ব্য়াঙ্কে। তিনি বলেছেন, আমিই আগে আবেদন করেছিলাম, যে কৃষকদের টাকাটা দরকার হবে না, তারা কেন্দ্রকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। এ ব্যাপারে আমরেলির দিতলা গ্রামের জনৈক উকাভাই ভাট্টি বলেছেন, সরকার কিষাণ নিধির মতো প্রকল্পের মাধ্য়মে আর্থিক সহায়তা দিয়ে কৃষকদের দেখভাল করে। এবার আমাদের সাহায্য করার সময়। আমাদের গ্রামের একাধিক কৃষক কিষাণ নিধির ২০০০ টাকা পিএম কেয়ার্স ফান্ডে দান করেছে।