চণ্ডীগড়: পেরনো যাচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ-বিহার সীমানা। তাই পঞ্জাব,হরিয়ানা থেকে আসা ঘরমুখী পরিযায়ী শ্রমিকরা নদী পার হয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন। ঘাঘর আর যমুনা পেরোনোর জন্য মাথাপিছু ১০০ টাকা দিলেই হওয়া যাচ্ছে নদী-পার।

উত্তরপ্রদেশের শামলি ও শাহারানপুর জেলা দিয়ে অনবরত চলছে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াত। যমুনানগর, কর্নল, পানিপথ জেলা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসছেন। তাঁরা বেশিরভাগই কাজ হারিয়েছেন। বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে ঘর ছেড়েছেন। সরকার ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে, জানেন তাঁরা। তবু, কীভাবে সেই ট্রেনে জায়গা পাবেন, কোথা থেকেই বা মিলবে টিকিট, জানেন না কিছুই। তাঁদের দাবি, ডাক্তাররা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, সুস্থ তাঁরা। তবু পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তা পারছেন না।

কীভাবে চলছে নদী পারাপার?

ঘাড়ে সাইকেল, কোলে-পিঠে বাচ্চা, কারও কাঁধে বড় পুঁটলি....নদী পেরোচ্ছেন মানুষ। হাঁটু জল হেঁটেই পেরোচ্ছেন। গভীর জলের জন্য পরিত্যক্ত টায়ার ও বাঁশের সাহায্যে অভিনব উপায়ে চলছে পারাপার। জনপ্রতি ১০০ টাকা নিচ্ছেন স্থানীয় ব্যবস্থাকারীরা।


বিহার-যাত্রী এক পরিযায়ী শ্রমিক জানালেন ২০০ কিমি পঞ্জাব থেকে এসেছেন সাইকেল চালিয়ে। এবার উত্তরপ্রদেশ দিয়ে নদী পেরিয়ে নিজের রাজ্যে যেতে চান।

পঞ্জাবের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য জাতীয় সড়ক-১ এর উপর খাবারের স্টলের ব্যবস্থা করেছে খালসা এইড নামে এক এনজিও।