নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক। নতুন করে COVID-19 সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে। এর জন্য করোনার নতুন একটি রূপকে দায়ী করা হচ্ছে। করোনার নতুন এই রূপের নাম XFG. এটি করোনার তৃতীয় সবচেয়ে সংক্রামক রূপ বলে দাবি চিকিৎসকদের। গ্রীষ্মকালীন সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায় করোনার এই রূপ থেকে। স্থানীয় ভাষায় করোনার XFG রূপকে ‘Stratus’ বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে। ইউরোপের একাধিক দেশেই করোনার এই রূপের হদিশ মিলেছে। (COVID-19 XFG Variant)
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই প্রথমে XFG-র খোঁজ পাওয়া যায়। মে মাস পর্যন্ত এর প্রকোপে আমেরিকায় সংক্রমণে ০ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু জুন মাস থেকে সংক্রমণ লাগাতার বেড়ে চলেছে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) জানিয়েছে, জুনের শেষ দিকে যত সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তার ১৪ শতাংশই এই XFG রূপের দরুণ। (Novel Coronavirus)
CDC জানিয়েছে, অ্যালাবামা, আলাস্কা, ক্যালিফোর্নিয়া, ডেলাওয়ার, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, কেন্টাকি, লুইজিয়ানা, টেক্সাসেই XFG-র প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। কানেটিকাটের পাশাপাশি, জর্জিয়া, ইন্ডিয়ানা, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, মিসিসিপি, মিসৌরি, পেনসিলভেনিয়া, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহায়ো, ওকলাহোমা, অরেগন, সাউথ ক্য়ারোলাইনা, টেনেসি, উটা, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন, উইসকনসিনেও সংক্রমণ বেড়ে চলেছে লাগাতার।
XFG-র পাশাপাশি সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য NB.1.8.1 তথা Nimbus-কেও দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে অসম্ভব গলাব্যথা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, LF.7 এবং LP.8.1.2 থেকেই XFG-র উৎপত্তি। SARS-CoV-2 ভাইরাস থেকেই COVID-19 সংক্রমণ ছড়ায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, SARS-CoV-2 লাগাতার চরিত্রবদল করে চলেছে। ফলে আগামী দিনেও তার নয়া রূপের খোঁজ মিলবে বলে মত তাঁদের। চরিত্রবদলের জেরই XFG এত সংক্রামক হয়ে উঠেছে। তবে করোনার যে টিকা বাজারে রয়েছে, XFG তার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তবে করোনার ওমিক্রন রূপের চেয়ে XFG-র উপসর্গ আলাদা। এক্ষেত্রে গায়ে জ্বর থাকে, কাঁপুনি দেয়। কাশি হতে থাকে একটানা। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি, গলায় অসম্ভব ব্যথা হয়। নাকবন্ধ হয়ে যেতে পারে, আবার জল পড়তেও পারে। স্বাদ গ্রহণ বা ঘ্রাণের শক্তি চলে যায় না। ক্লান্তি আসে শরীরে। পেশির যন্ত্রণা হয়। মাথার যন্ত্রণা, বমিও হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় কোয়ারান্টিন বা সতর্কতামূলক বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সকলে।