নিউ দিল্লি : সব ধরনের কোভিড ভ্যাকসিন কেনার বিস্তারিত তথ্য দিন। কেন্দ্রকে একথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড ও স্পুটনিক ভি ক্রয়ের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া টিকাকরণ নীতি নিয়ে চূড়ান্ত কী ভাবনা চিন্তা করেছে কেন্দ্র- সেই সংক্রান্ত নথিও জমি করতে বলা হয়েছে।


গত ৩১ মে ভারত সরকারকে এই মর্মে হলফনামা জমার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেয় বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এল এন রাও ও এস রবীন্দ্র ভাটের বিশেষ বেঞ্চ। যা বুধবার ফের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।


সব কোভিড ভ্যাকসিন কেনার বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলার পাশাপাশি অ্যাপেক্স কোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে, তিন ধরনের ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য কবে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল তার তারিখ উল্লেখ করতে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত কোন তারিখে কত ভ্যাকসিন অর্ডার করা হয়েছে এবং তা সরবরাহের প্রোজেক্টেড ডেটও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া বাকি আছে, তাঁদের কবে, কীভাবে তা দেওয়া হবে সেই পরিকল্পনার কথাও জানাতে বলা হয়েছে।


শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের কত শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন(একটি ডোজ ও দুটি ডোজ) দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, এই সংক্রান্ত তথ্যে গ্রামীণ ও শহর এলাকার কত শতাংশ করে মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা গিয়েছে তার উল্লেখ রাখতে।


এর পাশাপাশি মুকোরমাইকোসিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের জোগানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মুকোরমাইকোসিসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। 


কোভিড ১৯ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গত ৩১ মে একটি সুয়ো মোটো মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাতে শীর্ষ আদালত বলে, ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য আদৌ CoWIN পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন আছে কি না। এর ফলে দেশ ডিজিটালি বিভক্ত হয়ে যাবে বলে মনে করে শীর্ষ আদালত।