Covid-19 Testing Device: মাত্র ৩০ সেকেন্ডে মধ্যে ধরা পড়বে করোনার ভাইরাস। সম্প্রতি এমনই এক যন্ত্র তৈরি করেছে গবেষকরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, পলিমার্স চেইন রিয়্যাকশন বা (PCR)পরীক্ষার মতোই নির্ভুল ফল দেবে এই টেস্ট।
Covid-19 Research: কী বলছে গবেষণাপত্র ?
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা গ্রুপ এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, পিসিআর পরীক্ষার মতো ডিভাইসটি ৯০ শতাংশ নির্ভুল কোভিড ১৯ পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে সক্ষম। এই যন্ত্রের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য আধিকারিকরা দ্রুত কারও করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। মাত্র কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই টেস্টের রেজাল্ট চলে আসবে। সেই কারণে সংক্রমণ নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে রোখা সম্ভব হবে বলে মত গবেষকদের। তাঁদের দাবি, কোভিডের মতো মহামারী প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হবে এই ডিভাইস।
Covid-19 Testing Device: অনুমতি পেয়েছে এই যন্ত্র ?
এই নতুন ডিভাইস নিয়ে ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির গবেষক জোসেফিন এসকুইভেল-আপশো বলেন, " কোভিড পরীক্ষায় এই যন্ত্রের মতো এখনও সেই ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি।" তবে এখনও আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশেনের ছাড়পত্র পায়নি এই ডিভাইস। গবেষকরা জানিয়েছেন, যন্ত্রের নির্ভুল ফলের বিষয়ে এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নন তাঁরা। এই বিষয়ে আরও পরীক্ষা প্রয়োজন। মূলত, মুখের লালা থেকে পাওয়া ভাইরাস যে কোভিড ১৯ তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাইছেন গবেষরা। তাঁদের মতে, অনেক সময়, মুখের অন্যান্য জীবাণু থেকেও এই ধরনের ভাইরাসের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেই বিষয়টাই গুরুত্ব সহকারে দেখতে চাইছেন তাঁরা।
Covid-19 Testing: কীভাবে হবে টেস্টিং ?
গবেষকরা জানিয়েছেন, হাতে ধরা এই যন্ত্রটি আসলে একটি ৯ ভোল্টের ব্যাটারিতে চলে। সস্তা পরীক্ষার স্ট্রিপ ব্যবহার করেই ফল পাওয়া যায় পরীক্ষার। রক্তের গ্লুকোজ মিটারে যে ধরনের স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়, এখানেও সেই ধরনের জিনিস লাগে। এই স্ট্রিপের সামনে একটি গোল্ড প্লেটেড ফিল্মের সঙ্গে করোনভাইরাসের অ্যান্টিবডিগুলি জুড়ে দেওয়া হয়। এরপর লালার নমুনা সংগ্রহ করতে ওই স্ট্রিপটি জিভের ওপর দিতে হয়। এরপরই শুরু হয় আসল কাজ। নমুনা সংগ্রহ করার পর এই স্ট্রিপটিকে ডিভাইসের মধ্যে ঢোকানো হয়। পরে সার্কিট বোর্ডের মাধ্যমে সেই নমুনা পরীক্ষার করে রিডার।
Covid-19 Testing: কীভাবে জানা যায় রিপোর্ট ?
করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির লালার নমুনায় কোভিডের ভাইরাস থাকলে তা করোনার অ্যান্ডিবডির মধ্যে চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিশেষ ট্রানজিস্টরে ইলেকট্রিক পালস তৈরি হয়। লালায় কোভিড ভাইরাসের পরিমাণ বেশি থাকলে তা ইলেকট্রিক্যাল পালসে প্রভাব ফেলে। ফলে সহজেই সংক্রমিতকে চিহ্নিত করতে পারেন পরীক্ষক।