পাথরপ্রতিমা: বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লঙ্ঘন করায় আগে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন, বিজেপি, তৃণমূল সহ সব রাজনৈতিক দল মহামারীর প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, যখন দেশে প্রতি অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন বড় বড় সভা, রোড শো করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে এমনও বলতে শোনা গিয়েছে, এত সংখ্যক লোক সভায় আসায় তিনি খুশি। অভিষেক বলেছেন, রাজ্য এখন করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের মতো জোড়া বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এই বিপর্যয়ের সময়ে যিনি ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজকর্মের পর্যালোচনা করছেন, তাঁকে হঠাৎ করে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল। এ কেমন চিন্তাভাবনা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকার প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে  আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার শোকজ করল কেন্দ্র। গত  ৩১ মে তাঁকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন? তিনদিনের মধ্যে চাওয়া হল ব্যাখ্যা। এনিয়ে ফের বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি।
এর আগে গত ২৮ মে তাঁকে দিল্লিতে কর্মীবর্গ বিভাগে যোগ দিতে বলা হয়। গত সোমবার তাঁকে দিল্লি যেতে বলা হয়েছিল। ওই দিনই ছিল তাঁর অবসরের দিন। যদিও এর আগে রাজ্যের আর্জি মেনে কেন্দ্র আলাপনকে এক্সটেনশন দিয়েছিল। কিন্তু সেই এক্সটেনশন না নিয়ে নির্ধারিত দিনেই তিনি অবসর নেন। এরপর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। সমগ্র বিতর্কে আলাপনের পাশে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে নিশানা করেছেন অভিষেক। 
অভিযেক কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ভোটের আগে যাঁরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কলাপাতায় খেতেন, তাঁদের এই বিপর্যয়ের সময়ে আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। 
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার দেবীচকের ত্রাণ শিবিরে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস। আজ ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  সেই সফরসূচি অনুযায়ী, আজ সকালে মহেন্দ্রপুর হাইস্কুল মাঠে তাঁর হেলিকপ্টার নামে। এরপর নদীপথে তিনি যান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে।