লন্ডন: বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের মানব-পরীক্ষা। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
গত সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি সুপার-ফাস্ট ভ্যাক্সিন দ্রুত বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁরা বলেছিলেন, সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাসেই ওই ভ্যাক্সিন বা টিকা পাওয়া যাবে। ওই গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট বাদি করেন,
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক ১০ জাউনিং স্ট্রিট থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গবেষণা ও মানব-পরীক্ষার স্বার্থে অক্সফোর্ডের এই দলকে ২ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি, লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজকেও ২.২৫ কোটি ব্রিটশ পাউন্ড আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সাধারণত, একটি ভ্যাক্সিনের পরীক্ষা থেকে শুরু করে তার বানিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। হ্যানকক জানান, অক্সফোর্ডের গবেষক দলটি প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করেছে। পাশাপাশি, ভ্যাক্সিন তৈরি করতে তারা সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই মানব দেহে এর পরীক্ষা শুরু হবে।
এই পরীক্ষার ওপর নজর রেখে চলেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। তাদের মতে, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে চাদোক্স-১।
অন্য ভ্যাক্সিনের থেকে আলাদা এই চাদোক্স-১? গবেষণা দলের এক সদস্য প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, তাঁদের তৈরি এই ভ্যাক্সিন হল একটি 'রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাল ভেক্টর ভ্যাক্সিন'। একবার তৈরি হলে রেকর্ড সময়ে বিশাল পরিমাণ বানিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব। তাঁর আশা, সব ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কয়েক লক্ষ ভ্যাক্সিন তৈরি হয়ে যাবে।
মানব পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক জড়ো করেছে গবেষক দলটি। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের ওপরই পরীক্ষা চলবে নতুন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটে তৈরি হওয়া ভ্যাক্সিনের।