নিউ দিল্লি : বাতাসে ১০ মিটার পর্যন্ত ভাসতে পারে করোনা ভাইরাস। এমনই সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা। শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।


বলা হয়েছে, COVID-19 ভাইরাস মূলত ড্রপলেট থেকে ও বায়ুবাহিত হয়ে ছড়ায়। সংক্রমিতের থেকে ২ মিটারের মধ্যে পড়ে যায় ড্রপলেট, কিন্তু বাতাসে ১০ মিটার পর্যন্ত ভাসতে পারে। 


উপদেশনামায় বলা হয়েছে, করোনা রুখতে মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজেশন এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব বাড়িতে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ভাল, সেখানে একজন সংক্রমিতের অপরজনকে সংক্রমিত করার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। এই ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাকে একধরনের "কমিউনিটি ডিফেন্স" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। 


কেন্দ্রের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দরজা-জানালা খুলে রেখে বা এক্সহস্ট ব্যবহার করে যেভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা যায়, ঠিক সেভাবেই ভেন্টিলেশনের সুবন্দোবস্ত থাকলে ভাইরাসের পুঞ্জীভূত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। 


প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরের অফিস থেকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শহর ও গ্রামীণ এলাকায় অফিস, বাড়ি বা বড় পাবলিক স্পেসে যাতে বাইরের বাতাস ঢুকতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকী অল্প করে দরজা বা জানালা খুলে রাখলেও চলবে। । যার মাধ্যমে বাইরের বাতাস ঢুকবে এবং বাতাসের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা বা এক্সহস্ট ফ্যানের ব্যবহার উপকারে সবে।


বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একজন সংক্রমিত ব্যক্তি নিশ্বাস নিলে, কথা বললে, গান করলে, হাসলে, কাশি বা হাঁচি হলে যে ড্রপলেট বের হয় মূলত তা থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। এমনকী যাঁর উপসর্গ নেই, তিনিও সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। তাই মাস্ক পরুন। প্রয়োজনে ডবল বা N95 মাস্ক পরা যেতে পারে। একজনের থেকে আর একজনের সংক্রমণ আটকাতে পারলে এভাবে একসময় ভাইরাস মরে যাবে। এটা সম্ভব প্রত্যেক মানুষ, সম্প্রদায়, স্থানীয় প্রশাসন পরস্পরের সহযোগিতার মাধ্যমে। মাস্ক, ভেন্টিলেশন, দূরত্ববিধি এবং স্যানিটাইজেশন- করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লড়াইয়ে জেতার অস্ত্র।