নয়াদিল্লি: দুনিয়াজুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে ফের হুঁশিয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসুসের। বেশ কিছু দেশ করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রাথমিক রীতিনীতিগুলি মানছে না বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
গোটা দুনিয়ায় ৫ লাখেরও বেশি করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, সেরে উঠেছেন সাত লক্ষের ওপর। এই অবস্থায় আজ ঘেব্রেইয়েসুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি সাফ সাফ কথাটা বলছি। অনেক বেশি সংখ্যক দেশই ভুল পথে হাঁটছে। ভাইরাসটা জনগণের এক নম্বর শত্রুই রয়েছে। তার লক্ষ্য লোকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো। কিন্তু অনেক দেশের সরকার, জনসাধারণের আচরণে বিপদের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। নেতারা নানা সুরে কথা বলছেন, যাতে মার খাচ্ছে আস্থা, ভরসা, যা যে কোনও প্রতিক্রিয়া, পদক্ষেপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, জনসাধারণ শারীরিক দূরত্ববিধি, হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, প্রকাশ্যে কাশি দেওয়ার নিয়মবিধি, অসুস্থ হলে ঘরেই থাকার মতো মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, প্রাথমিক বিষয়গুলি অনুসরণ না করলে এই অতিমারী একটা দিকেই এগিয়ে চলবে। তা খারাপ থেকে আরও খারাপ, আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে। কিন্তু এই পথে তার যাত্রা হওয়া উচিত নয়।
কোভিড-১৯ এর ফলে ব্য়াহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা খুব শীগগিরই আগের মতো অবস্থায় ফিরছে না, তবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরানোর চাবিকাঠি আমাদেরই হাতে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, আমি সোজা কথাটা বলছি আপনাদের। অদূর ভবিষ্যতে পুরানো স্বাভাবিকতা ফিরবে না। কিন্তু আমরা যাতে রোগটাকে বশে এনে আমাদের জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেই অবস্থায় পৌঁছনোর একটা রূপরেখা অবশ্যই আছে। সেই নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে তিনটি অবিচ্ছেদ্য পর্যায়ের কথা বলেন তিনি। ঘেব্রেইয়েসুস ব্যাখ্যা করেন, প্রথমে, জোর দিতে হবে মৃত্যু হার কমানো, সংক্রমণ ঠেকানোয়। দ্বিতীয়ত, এক ক্ষমতাসম্পন্ন, সক্রিয় গোষ্ঠী তৈরি করতে হবে, যেখানে সবাই বাকিদের স্বার্থে ব্যক্তিগত আচরণবিধি মেনে চলবে। তৃতীয়ত, প্রয়োজন শক্ত সরকারি নেতৃত্ব ও সামগ্রিক কৌশলের সমন্বয় যা স্পষ্ট করে, ধারাবাহিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। এটা করা যায়, করতেই হবে। এটা আমি আগেও বলেছি, বলতেই থাকব।