নয়াদিল্লি: শুধু কোভ্যাক্সিন নয়, বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ক্যাডিলা হেলথকেয়ার লিমিটেডের অন্তর্গত সংস্থা জাইডাস জানিয়েছে, মানব শরীরে পরীক্ষার জন্য তাদের টিকা জাইকোভ-ডি কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, মানব শরীরে এই টিকা তখনই দেওয়া হয় যখন কাজ একেবারে শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছে। অতএব এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।


করোনা টিকা তৈরির দৌড়ে শেষ ধাপে ভারত। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা করোনার যে টিকা নিয়ে কাজ করছেন তার নাম কোভ্যাক্সিন। এটি তৈরি করেছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর এবং পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি। মানব শরীরে পরীক্ষার জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার সবুজ সংকেত পেয়েছে তারা। গোটা বিশ্বে ১৪০টির মধ্যে ১১টি টিকার এখন পরীক্ষা চলছে মানব শরীরে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিন ও  জাইকোভ-ডি টিকা করোনার এই ঘোর অন্ধকারে সীমান্তে রুপোলি রেখা।

তারা আরও বলেছে, গত কয়েক বছরে বিশ্বে যত টিকা তৈরি হয়েছে তার একটা বিরাট অংশ তৈরি হয়েছে ভারতে। ইউনিসেফে প্রতি বছর যত টিকা পাঠান হয়, তার ৬০ শতাংশ তৈরি করে ভারতীয় সংস্থাগুলি। অর্থাৎ যারাই সকলের আগে টিকা তৈরি করুক, গণহারে উৎপাদনের ওপর ভারতের ওপরেই ভরসা করতে হবে। যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে এজেডডি১২২২ টিকা তৈরি করছে তার গণ উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা। একইভাবে কাইজার পার্মানেন্টে ওয়াশিংটন হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট-ও তাদের এমআরএনএ-১২৭৩ টিকা তৈরির জন্য ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

কোভ্যাক্সিন নিয়ে বলতে গিয়ে বিজ্ঞান মন্ত্রক বলেছে, ভারতীয় এক করোনা রোগীর শরীর থেকে জীবাণুটি বিচ্ছিন্ন করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, তারপর তা নিষ্ক্রিয় করার টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। ১৫ অগাস্টের মধ্যে কোভ্যাক্সিনের মানব শরীরে পরীক্ষার যাবতীয় ধাপ শেষ করতে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে এ মাসের ২ তারিখ আইসিএমআর চিঠি দিয়েছে।