নয়া দিল্লি: কোভিডের শেষ হবে না, বরং জীবনের অঙ্গ হিসেবেই থেকে যাএব এই আরএনএ ভাইরাসটি। করোনা সংক্রমণও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সমাপ্ত হবে অতিমারী। ওমিক্রনের মত করোনার নানা রূপের নানা তরঙ্গ আসতেই পারে, কিন্তু কখনই তা অতিমারী তৈরি করবে না, এমনটাই জানিয়েছে ল্যানসেট স্টাডি। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, SARS-CoV-2 সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও কোভিড হতে থাকবেই। তবে তার মারণ ক্ষমতা অনেকটাই কমবে। 


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকবে। তবে অনাক্রম্যতা, টিকা এর জেরে সংক্রমণের প্রভাব কম হবে। নতুন অ্যান্টিজেন বা নতুন রূপ অনুযায়ী ভ্যাকসিন বাজারে আসলেও তা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় নাও করতে পারে। তবে শরীরে অনাক্রমতা থাকবে। তাই রোগের দাপট কমবে অনেকটাই। টিকাকরণের ফলে ওমিক্রনের মারণ ক্ষমতা অনেকটাই রুখতে পারা গিয়েছে বলে মত। কিন্তু যেহেতু আরএনএ ভাইরাস তাই একে শেষ করে দেওয়া বৈজ্ঞানিকভাবেও সম্ভব নয়। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরার মাধ্যমে কিছুটা হলেও রুখতে পারা সম্ভব। 


সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, "যেসব দেশে ওমিক্রন তরঙ্গ এখনও শুরু হয়নি, যেমন পূর্ব ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাম্প্রতিকতম ওমিক্রন শিখর দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাই  SARS-CoV-2 পরীক্ষা বাড়ানোর পদক্ষেপগুলি নেওয়া হচ্ছে। তবে ওমিক্রন তরঙ্গের গতিপথকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা নেই। করোনার ঢেউ ফাতে হবে সব দেশকেই।"


সম্প্রতি আইসিএমআরের তরফে বলা হয়েছিল, এ বছরের ১১ মার্চ কোভিড–১৯ এন্ডেমিক হয়ে উঠবে। বলা হয়েছে, "ওমিক্রন ডেল্টাকে প্রতিস্থাপন করে তবে তা এন্ডেমিক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা না দেয় তাহলে কোভিড আঞ্চলিক রোগে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"


এর আগেও বলা হয়েছিল যে দেশ থেকে একেবারে নিশ্চিহ্ন হবে না করোনা ভাইরাস। ধীরে ধীরে তা এন্ডেমিক স্তরে পৌঁছে তা ইনফ্লুয়েঞ্জায় পরিণত হবে। যার মানে, করোনা ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা আকারে '‌আজীবন বেঁচে থাকবে'‌ একটি নির্দিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে।