নয়া দিল্লি : অনেক উন্নয়নশীল দেশই এখনও তাদের নিজেদের দেশে একটা বড় অংশের মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। তাই ভ্যাকসিন সাম্যতার মতো ইস্যু ওঠা উচিত। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে "ভ্যাকসিন পাসপোর্টস" নিয়ে সর্বত্র আলোচনার মধ্যেই এই দাবি জানাল ভারত।
সম্প্রতি জাপান সরকারি ঘোষণা করেছে, পরের মাস থেকে জাপানি ট্রাভেলারদের জন্য "ভ্যাকসিন পাসপোর্টস" চালু করতে চলেছে তারা। জাপানের এই ঘোষণার পর, ভারতও একই পথে হেঁটে "পাসপোর্ট" ইস্যু করবে কি না জানতে চাওয়া হলে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারত "ভ্যাকসিন পাসপোর্ট" ইস্যু করছে, এমন কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই।
তবে তিনি বলেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশই এখনও একটা বড় অংশের জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। তাই ভ্যাকসিন ইক্যুইটি বা ভ্যাকসিন সাম্যতার মতো বিষয়টি ভ্যাকসিন পাসপোর্ট সংক্রান্ত আলোচনার সাথে যুক্ত করা উচিত বলে মনে করে ভারত।
গত মাসেই সরকার জানিয়েছিল, বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে "ভ্যাকসিন পাসপোর্ট" ইস্যু করার মতো কোনও সিদ্ধান্তে WHO এখনও পৌঁছাতে পারেনি। তবে আলোচনা চলছে বলে জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আমেরিকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের দেশে পড়াশোনার জন্য যেতে ইচ্ছুক ছাত্রদের উদ্দেশে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের কথা বলছে। এপ্রসঙ্গে অরিন্দম বাগচি বলেন, এনিয়ে কোনও ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি। যদিও আমেরিকার সরকার বলেছে, ভারতীয় ছাত্রদের জন্য ভ্যাকসিনেশন অত্যাবশ্যকীয় নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে, আমাদের ছাত্রদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অনেক আলোচনা চলছে। আমরা অবশ্যই আমাদের ছাত্রদের সমর্থন করব। প্রত্যেক ছাত্র যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে ক্লাস শুরু করতে পারে তা নিশ্চিত করা নিয়েই প্রত্যেকে উদ্বিগ।
এদিকে আমেরিকার তরফে যে ভ্যাকসিন পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে অরিন্দম বাগচি জানান, আমেরিকা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলেছে, তার অপেক্ষা করা হচ্ছে। এদিকে সরকারের ভ্যাকসিন প্যানেল সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে অরিন্দম বাগচি জানান, এটা নীতি আয়োগের অধীনে তৈরি। তাই এই সংক্রান্ত আলোচনায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।