হায়দরাবাদ: ফের খবরের শিরোনামে মহম্মদ আজহারউদ্দিন (Mohammed Azharuddin)। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে। শুধু প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণই নয়, এপেক্স কাউন্সিল থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হল যে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থায় আজহারউদ্দিনের সদস্যপদও খারিজ থাকবে।
ক্রিকেট কেরিয়ার হোক বা ক্রিকেট প্রশাসক পদে সেকেন্ড ইনিংস, বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ে না। ক্রিকেট জীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবন বা প্রশাসক হিসেবেও বিতর্কে জেরবার মহম্মদ আজহারউদ্দিন। এবার হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। এইচসিএ-র সদস্যপদও কেড়ে নেওয়া নেওয়া হয়েছে। আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বোর্ডের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠিয়েছে এপেক্স কাউন্সিল।
কিন্তু ঠিক কী অভিযোগ আজহারের বিরুদ্ধে? ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি দুবাইয়ের একটি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য, অথচ সে কথা গোপন রেখেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী যা জানানো বাধ্যতামূলক। জানা গিয়েছে, ওই ক্লাবটি ভারতীয় বোর্ডের দ্বারা স্বীকৃত নয় এমন একটি ক্রিকেট লিগে অংশ নেয়। এর বাইরেও এইচসিএ-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে এপেক্স কাউন্সিল। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আজহারকে নির্বাসিতই থাকতে হবে। যে শো-কজ নোটিশ আজহারকে পাঠানো হয়েছে, তাতে এপেক্স কাউন্সিল লিখেছে, ‘আপনার বিরুদ্ধে সদস্যরা যে অভিযোগুলো এনেছেন, তার ভিত্তিতেই গত ১০ জুন এপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে আপনাকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনার এইচসিএ-র সদস্যপদ খারিজ করা হচ্ছে।’
১৫ জুন চিঠিটি পাঠানো হয়েছে আজহারকে। এক সপ্তাহের মধ্যে চিঠির যথাযথ উত্তর না দিলে আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে এপেক্স কাউন্সিল।