নয়াদিল্লি: করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফে নতুন করে উদ্বেগ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন গাইডলাইন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।


১ এপ্রিল-৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন গাইডলাইন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,  ‘কোভিড বিধি পালনে আরও কড়াকড়ি করতে হবে’। প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,


-  ‘দ্রুত পরীক্ষা করে করোনা রোগীকে চিহ্নিতকরণ করতে হবে’


-‘সংক্রমণের উৎস দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে’


-‘আরটিপিসিআর টেস্টের সংখ্যা আরও দ্রুত বাড়াতে হবে’


-‘সংক্রমিতকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইসোলেশন’


-‘সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে’


-‘কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা ওয়েবসাইটে দিয়ে জানাতে হবে’


-‘করোনার টিকাকরণে গতি বাড়াতে হবে’


-‘মাস্ক পরতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে’


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশিকা আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এবং তা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকবে।


নয়া নির্দেশিকা অনুসারে, আরটি-পিসিআর টেস্ট যেখানে কম সেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে তা দ্রুত বাড়াতে হবে। নির্ধারিত ৭০ শতাংশ বা তার বেশি টেস্টের পর্যায়ে পৌঁছতে এক্ষেত্রে দ্রুত টেস্ট বাড়াতে হবে।


ব্যাপক পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার ঘটনা সামনে এল সংশ্লিষ্ট আক্রান্ততে আলাদা করতে হবে বা  কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। সেইসঙ্গে সময়োচিত চিকিৎসা করতে হবে।


কর্মক্ষেত্রে ও জনবহুল এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতাবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


জনবহুল এলাকায় লোকজন যাতে মাস্ক পরেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এই বিধি লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা সহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখতে বলা হয়েছে।


কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের মধ্যে এবং এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাতায়াতে কোনও নিয়ন্ত্রণ নয়। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা নয়। এ ধরনের যাতায়াতের জন্য কোনও আলাদা অনুমতি, ই-পার্মিট লাগবে না।