নয়াদিল্লি: ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প নিয়ে তোলপাড় শহর থেকে রাজ্য। করোনা আবহে যা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। একে ভাইরাসের চোঙ রাঙানি তার উপর ভ্যাকসিন নিয়ে এহেন কাজে রীতিমতো আতঙ্কিত তাঁরা। বে এই ধরনের ঘটনার পাশাপাশি আছে উল্টো ছবিও। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণ। বড় জমায়েতের জায়গা রয়েছে এই রকম জায়গায় টিকাকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। যে তালিকায় রয়েছে, চার্চ থেকে সিনেমা হল।
সূত্রের খবর, এশিয়াজুড়ে অনেকেই টিকা দিতে নারাজ। এমন তথ্য সামনে এসেছে। তার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্নরা। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনেকেই টিকার বিষয়ে ভুল তথ্যে বিশ্বাস করছেন তা থেকে তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তাও। আর এই আবহে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকাকরণে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ঠিক যেভাবে ফ্রি বিয়ার থেকে ফ্রি মোবাইল রিচার্জের অফার দেওয়া হয়ে থাকে।
কাজাখস্তানের অলমার্টি মেগা পার্ক মলে টিকটকের একটি স্টুডিও ছিল। তাকে বদলে ফেলা হল ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে। করোনাকালে প্রতিদিনই ওই কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় টিকাকরণ কর্মসূচির। বর্তমানে কোয়াজভ্যাক ভ্যাকসিন ব্য়বহার করার অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ামক সংস্থা। এছাড়াও সেখানে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি সহ চিনের তৈরি ভ্যাকসিন করোনাভ্য়াক, হায়াত-ভ্য়াক্স ভ্য়াকসিন। অন্যদিকে গোটা সিনেমা হলকে টিকাকরণ কেন্দ্রে বদলে ফেলা হয়েছে ফিলিপিন্সে। ফিলিপিন্সের মেট্রো ম্যানিলার সান জুয়ান সিটিতে একটি সিনেমা হলে চলছে টিকাকরণ।
একই ছবি দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্কক থেকে মেক্সিকোতেও। ব্যাঙ্ককের প্যারাগন শপিং মলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের। জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডের নিয়ামক সংস্থা অনুমোদনের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন তৈরি করছে। সূত্রের খবর, সেদেশেও ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার খবর মিলেছে। অভিযোগ, ভ্যাকসিন নেওয়ার দিন নির্ধারণ হলেও অনেক ক্ষেত্রেই মিলছে না ভ্যাকসিন। অভিনব এই যজ্ঞে সামিল হয়েছে মেক্সিকোও। বাসেই ভ্যাকসিনেশনের আয়োজন করা হয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সে দেশে। এই তালিকায় রয়েছে ব্রিটেনের নামও। ব্রিটেনের স্যালিসবারি ক্যাথিড্রালে টিকাকরণের আয়োজন করা হয়েছে।