ঝিলম করঞ্জাই: করোনা ভাইরাসের ডবল মিউট্যান্টকে প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড কার্যকরী। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিভাগের করা গবেষণায়।অতিমারী রোধে ভ্যাকসিন আবশ্যিক বলে ফের সওয়াল করেছেন চিকিৎসকরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারত। বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসাবে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা ধীরে ধীরে ১৫ হাজারের দিকে এগোচ্ছে। মারণ ভাইরাসের নতুন ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের দাপটে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
এই চরম অন্ধকারের মধ্যে, ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিভাগের গবেষণায় মিলল আশার আলো। এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনার নতুন প্রজাতি, যার পোশাকি নাম B.1.617.2। তার মোকাবিলায় কোভিশিল্ড কার্যকরী।
চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ১৬ মে পর্যন্ত গবেষণা চালায় ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিভাগ। সেই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনে আক্রান্ত ১ হাজার ৫৪ জনের ওপর কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজ প্রয়োগ করা হয়। তাতে দেখা যায় এই ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসের ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ কার্যকরী।
এর আগে নন মিউট্যান্ট প্রজাতির ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ৬৬ শতাংশ কার্যকরী ছিল। গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যাঁরা সংক্রমিত হচ্ছেন, তারমধ্যে ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড রোগ নিরাময়ে সাহায্য করছে।
ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিভাগের টিকাকরণ কর্মসূচির প্রধান মেরি র্যামসে জানিয়েছেন, আমরা আশা করি, এই ভ্যাকসিন মৃত্যুর হাত থেকে ও হাসপাতালে যাওয়া আটকাতে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ও সামাজিক বিষয়ের সচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনকে এই টিকাকরণের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা যাচ্ছে এবং এই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। ডবল মিউট্যান্ট প্রজাতির থেকে সুরক্ষা দেওয়া যাচ্ছে।
এই অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের পক্ষেই জোরদার সওয়াল করছেন চিকিৎসকরা। সব মিলিয়ে মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় যত দ্রুত ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ হবে, তত তাড়াতাড়ি ফল মিলবে। কিন্তু, প্রশ্ন হল, ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত যোগান কোথায়?কেন এই চরম দুরবস্থার মধ্যেও ভ্যাকসিনের এত আকাল ভারতে? এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী?