দেরাদুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে ভারতে। তার মাঝেই আবার ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস। বিভিন্ন রাজ্যেই ক্রমশ বাড়ছে এই ছত্রাকবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিরাময়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করল উত্তরাখণ্ড সরকার। তারা মিউকোরমাইকোসিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইঞ্জেকশন বানানো শুরু করেছে।
উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ইঞ্জেকশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসায়। অ্যান্টি ফাঙ্গাল ড্রাগ হিসেবেই যা ব্যবহার করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল চিকিৎসক তৃপ্তি বহুগুণা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রুদ্রপুরে এই ইঞ্জেকশন তৈরি করছি আমরা। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের হাতে ইঞ্জেকশনের ১২ হাজার ডোজ এসে পৌঁছবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই ইঞ্জেকশন পাওয়ার পর রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গতি পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল।
মিউকর নামক ছত্রাক থেকে এই রোগ ছড়ায় বলেই রোগটির নাম মিউকোরমাইকোসিস। সাধারণত কোভিড আক্রান্ত, ডায়াবেটিক, ক্যানসার আক্রান্ত, স্টেরয়ডের নিতে হচ্ছে যাদের এমন ব্যক্তিদেরই এই সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। রোগটি সংক্রামক না হলেও ক্রমশ একাধিক করোনা রোগীরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে সেই জায়গায় অবশ্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে কিছুটা আতঙ্কেই রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে যাকে অতিমারি হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
এই অবস্থায় রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অ্যান্টি ফাঙ্গাল ইঞ্জেকশন তৈরি করার পথে হাঁটা উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাইরে থেকে কাঁচামাল কিনেই ইঞ্জেকশন বানানোর কাজ শুরু করেছে তারা। কীভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা হবে তার জন্য রাজ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরও চালু করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
এমনিতেই গোটা দেশের মতোই কোভিডের ধাক্কায় জর্জরিত উত্তরাখণ্ডও। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্য উত্তরাখণ্ডের কোনও হাসপাতালই এদিন সেখানকার কোভিডে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অবশ্য বিষয়টিকে ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল ত্রুটি বলা হয়েছে।