নয়াদিল্লি: কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন সুরক্ষিত এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল সিরাম ইনস্টিটিউট। চেন্নাইয়ের স্বেচ্ছাসেবকের অভিযোগ অস্বীকার করে তারা জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে যাবতীয় নিয়মবিধি এবং গাইডলাইন মানা হয়েছে।



অবিলম্বে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি, বন্টন, পরীক্ষা বন্ধ করা উচিৎ। এমনটাই দাবি জানান চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি কোভিশিল্ডের স্বেচ্ছাসেবক। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা বানাচ্ছে, তা ভারতে বানানোর অনুমতি পেয়েছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এরপরই আসরে নামে সিরাম ইনস্টিটিউট।



সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে দেশবাসীকে প্ররোচনা দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি। এই বিষয়ে ডিএসএমবি এবং এথিক্স কমিটির জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যে সমস্যা হচ্ছে তার সঙ্গে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে কোনও সম্পর্ক নেই। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে সব রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সুরক্ষা বজায় রাখতে এবং সংস্থার স্বার্থে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির থেকে জরিমানা হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেছে সিরাম।



২১ নভেম্বর আইনি নোটিস পাঠান ওই ব্যক্তি। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা চলছে। নিজের বর্তমান এবং ভবিষ্যতে কীভাবে হবে আলোচনা তা নিয়ে ট্রমার মধ্যে আছেন তিনি। তাই তাঁকে আর্থিক সাহায্য করা উচিৎ। ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি। সিরাম ইনস্টিটিউট সাফ জানিয়েছে, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।