শুক্রবারই অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আবেদন জানায়।
বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল রাজ্যসভায় পেশ হয়। সেইদিন থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে নামে ছাত্রসংগঠনগুলি। রাস্তায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করে তারা। প্রশাসনিক দফতরগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠলে সেনা নামানো হয় ত্রিপুরা ও অসমে। অসমে এখনও মোতায়েন ২৬ কলাম। সেনা। আছে সিএপিএফও।
অসম পুলিশের ডিজি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত শুক্রবার রাতে জানান, রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে হিংসা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এবং পরিস্থিতি যাতে আয়ত্তের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে রাজ্য জুড়ে।
সোমবার পর্যন্ত অসমের ১০টি জেলায় বন্ধ থাকছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের ট্যুইট, প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা ও অসমবাসীর অধিকার সুনিশ্চিত করতে সরকার দায়বদ্ধ।
এদিকে, অসম ও মেঘালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, দেশের অন্যান্য জায়গায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা নেট হলেও, অসম এবং মেঘালয়ে তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কবে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা পরে ঘোষণা করা হবে।