নয়াদিল্লি: স্বাতী মালিওয়ালের অনশন বলপূর্বক ভাঙালেন চিকিৎসকেরা। শারীরিক অবনতি হওয়ার কারণে রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে। সেখানে জোর করেই তাঁর শরীরে আইভি(ইন্ট্রাভেনাস) প্রয়োগ করা হয়। প্রবল আপত্তি করেছিলেন স্বাতী। কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থা বিচার করে চিকিৎসকেরা সেই ঝুঁকি নেননি। অবশেষে ১৩ দিনের মাথায় থামল স্বাতীর অনির্দিষ্টকালের অনশন।
এর আগে, এদিন সকালে দিল্লির যন্তর মন্তরে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান। অনশন মঞ্চেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল এলএনজেপি হাসপাতালে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৩ দিন ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য যন্তর মন্তরে আমরণ অনশনে বসেছিলেন স্বাতী মালিওয়াল।
স্বাতীর দাবি, ৬ মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে ধর্ষণে অভিযুক্তদের ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে, অবিলম্বে দেশ জুড়ে কার্যকর করতে হবে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় পাস হওয়া দিশা আইন।


শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখে স্বাতী বলেন, দিশা আইন সারা দেশে লাগু না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই অনশন চালিয়ে যাবেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিশা বিল ২০১৯ পাশ করে অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা। ওই বিল অনুযায়ী, ধর্ষণ ও গণধর্ষণে দোষীসাব্যস্তদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। ২১ দিনের মধ্যে বিচারপর্ব শেষ করতে হবে। ৭দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে পুলিশের তদন্ত। পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি।
মোদিকে লেখা চিঠিতে মালিওয়াল জানিয়েছেন, আমি আপনার কাছে আবেদন করছি, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই বিল সারা দেশে কার্যকর করুন। এই গত ১২ দিনে আমার ৮ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। আমার শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। তা সত্ত্বেও আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, আমি আমার অনির্দিষ্টকালের এই অনশন চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না দিশা আইন সারা দেশে কার্যকর হচ্ছে।
সাংসদদের উদ্দেশ্যে তাঁর আবেদন, শীতকালীন অধিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট না করে মহিলা সুরক্ষা নিয়ে কোনও গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে। তিনি বলেন, অন্ধ্র সরকার যদি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে কেন্দ্র কেন পারবে না?