নয়াদিল্লি: ভারতে এখনও উদ্বেগজনক করোনার চিত্র। আর এই করোনাকালে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিমিটার। যার মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর শরীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন বোঝা যায়। খোলা বাজারে অক্সিমিটার যন্ত্রের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে দামও। এই আবহে প্লে স্টোরে ঘুরছে অক্সিমিটার অ্যাপ। আর এই অক্সিমিটার অ্যাপ নিয়েই এবার কালোবাজারির অভিযোগ। প্লে স্টোরে ভুয়ো অক্সিমিটার অ্যাপের হদিশ দিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। আর তা থেকেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে টাকা।


কুইক হিল সিকিউরিটি ল্যাব এই সম্পর্কে তথ্য পেয়ে খতিয়ে দেখে। তারা জানাচ্ছে অ্যাপের মধ্যে ম্যালওয়ারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকার বা সাইবার জালিয়াতরা। সাইবার বিশেষজ্ঞরা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ভুয়ো অ্যাপ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পে-লোড এবং তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোর তৈরি করতে নির্ভরযোগ্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে হ্যাকাররা অ্যাপ স্টোরকেই টার্গেট করে থাকে। যেখানে ফ্রি এবং টাকার বিনিময়ে-দুভাবেই অ্যাপ পাওয়া যায়।


সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন বিভিন্ন অ্যাপ মার্কেটে ভুয়ো অ্যাপ ছড়িয়ে দিতে হ্যাকাররা গিটহাব (GitHub) –এর মতো টুল ব্যবহার করে। আর এই পদ্ধতিতে বৃহদাংশের মানুষের কাছে পৌঁছে যায় ভুয়ো অ্যাপ। কোনও অ্যাপ ইনস্টল করার সময় তার সম্পর্কে প্রতিটি বিষয় পড়ে নেওয়া কঠিন তা জানে এই হ্যাকাররা। সাইবার বিশেষজ্ঞদের ওই দল বলছে, ব্যবহারকারীদের সংশ্লিষ্ট অ্যাপ ব্যবহারের জন্য তারা বিশেষভাবে  বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করে। এরপর ভুয়ো অক্সিমিটার অ্যাপ ডাউনলোড করলে মোবাইলের সুরক্ষিত ইউজারের ব্যক্তিগত সমস্ত জরুরি তথ্য চলে যাবে হ্যাকার বা সাইবার জালিয়াতদের কাছে।


সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বা ফোনে আসা মেসেজ থেকে কোনও লিঙ্ক না খোলার পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে জানাচ্ছেন কোনও থার্ড পার্টি থেকে অ্যাপ ইনস্টল করলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে। কারণ এই সব ক্ষেত্রে কোনও সুরক্ষা থাকে না। তাঁরা বলছেন, কোনও অ্যাপ ইনস্টল করার আগে ইংরাজি ব্যাকরণ, বানানের মতো একাধিক বিষয় ভাল করে নিতে হবে। সাধারণ হ্যাকার বা সাইবার জালিয়াতরা ভুল ইংরাজির ব্যবহার করে থাক। একইসঙ্গে অ্যাপে রেটিং এবং রিভিউ পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।