হঠাত্ করে যেন কলকাতার ওপর যুদ্ধবিমান এসে ঝাঁকে ঝাঁকে বোমাবর্ষণ করে চলে গেছে। শহরের কোনও বড় গাছই যেন আস্ত নেই।জায়গায় জায়গায় উপড়ে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। একাধিক জায়গায় ভেঙেছে ঘরবাড়ি। ৭২ ঘণ্টা পরও পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইল রাজ্য।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর ট্যুইট করে জানিয়েছে, সর্বশক্তি দিয়ে জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিকের চেষ্টা চলছে। সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এসডিআরএফ। রেল, বন্দর ও বেসরকারি ক্ষেত্রের সাহায্যও চাওয়া হয়েছে। পানীয় জল পরিষেবা, নিকাশি পরিকাঠামো দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জলের পাউচ সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গাছ কাটতে বিভিন্ন দফতরের শতাধিক দল কাজ করছে। লকডাউন চললেও, সিইএসসি-ডব্লুবিএসইডিসিএলকে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিনরাত কাজ করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা চলছে। পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এনডিআরএফের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। কাজ চলছে।
রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
কিন্তু সেনার সাহায্য চাইতে এত দেরি কেন? প্রশ্ন বিজেপির।
রাজ্য সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নামল পাঁচ কলাম সেনা।
রাজ্য সরকারের আর্জিতে সাড়া দিয়ে পাঁচ কলাম সেনা মোতায়েন হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। উমপুন-বিধ্বস্ত কলকাতা তথা রাজ্যের জেলাগুলিতে পরিকাঠামো পুর্নবহালের কাজে নামবে তারা।
এরই মধ্যে শনিবারই সাদার্ন অ্যাভিনিউতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গাছ কাটতে দেখা যায় এনডিআরএফ-কে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে উমপুন-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জাতীয় মোকাবিলা বাহিনীর অতিরিক্ত ১০টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের ৬ জেলার দুর্যোগ কবলিত এলাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে এনডিআরএফ -এর ২৬টি দল। আরও ১০টি দল এলে, মোট দলের সংখ্যা হবে ৩৬।
করোনা আবহের মধ্যে দুর্যোগ। এই পরিস্থিতিতে এদিন কেন্দ্রের কাছে উড়ান আসার দিন পরিবর্তনের আর্জি জানান মমতা।
উমপুনের ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে শুক্রবারই রাজ্যকে ১ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন কেন্দ্রের এই অনুদান পৌঁছে যায় রাজ্য সরকারের কাছে।