চেন্নাই : অন্ধ্রের মছলিপত্তনমের কাছে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার বেগে ল্যান্ডফল (Landfall)। প্রবল বৃষ্টিতে তামিলনাড়ুতে ৮ জনের মৃত্যু। চেন্নাইয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল রবিবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি। মঙ্গলের দুপুরে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা দিল মিগজাউম। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andra Pradesh) নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝে বাপাটলা উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার বেগে ল্যান্ডফল করল মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু (Tamilnadu), পুদুচেরির বিস্তীর্ণ এলাকা।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি, বৃষ্টি ও ঝড়ের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তামিলনাড়ুর বেশ কিছু জেলা। চেন্নাইয়ে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কোট্টুরপুরম, মুথিয়ালপেট, তাম্বারম, অশোকনগর, কাট্টুপক্কম, পেরুনগুড়ির মতো শহরের বেশির ভাগ এলাকা কয়েক ফুট জলের তলায়। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন এলাকা।
রাস্তা যেন নদী। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি, যানবাহন। বানভাসি বিমানবন্দর। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, ঘূর্ণিঝড় আর ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত চেন্নাই। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ৩ এবং ৪ ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ের বেশির ভাগ জায়গায় ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যা ২০১৫ সালের বন্যার পর এই প্রথম। এদিন দুপুর থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ হয় ঝড়ের ল্যান্ডফল।
ঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে সব হাসপাতালকে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে ৬২ হাজার ত্রাণ শিবির। সেখান থেকে বিলি করা হয়েছে অন্তত ১১ লক্ষ খাবারের প্যাকেট।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্য। বানভাসি তামিলনাড়ুর চেন্নাই-সহ উপকূলবর্তী সাত জেলা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে বাংলায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।