অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সমীরণ পাল, কলকাতা: ২৪ ডিসেম্বর, ব্রিগেডে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তার দু-দিন আগেই ২২ তারিখ কলকাতার বুকে চণ্ডীপাঠের আয়োজন করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট। অনুষ্ঠান আয়োজনে তৎপর রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিও। গীতাপাঠের পাল্টা কি চণ্ডীপাঠের আয়োজন? তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।                             


বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বিখ্যাত দেব-দীপাবলির আদলে। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য় সরকারের উদ্যোগে, গঙ্গাবক্ষে ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছিল দেব-দীপাবলির। এবার কি গেরুয়া শিবিরের গীতাপাঠের পাল্টা হতে চলেছে তৃণমূলের চণ্ডীপাঠ? এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিল বঙ্গ রাজনীতিতে। কারণ, ২৪ ডিসেম্বর, গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে, কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে গীতাপাঠের আয়োজন করেছে গীতাপাঠ কমিটি। অনুষ্ঠানের নাম, 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ'।                                                                       


যে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ঠিক ২ দিন আগে, ২২ ডিসেম্বর কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ ও চণ্ডীপাঠের। উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট। তাদের দাবি, রানি রাসমণি রোডে আয়োজন করা হবে ওই অনুষ্ঠানের। এই অবঠি ঠিক ছিল।


কিন্তু, বিতর্ক দানা বেধেছে এরসঙ্গে কারামন্ত্রী অখিল গিরির নাম জড়িয়ে যাওয়ায়। রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও, এই চণ্ডীপাঠের অনুষ্ঠান আয়োজনে পুরোদমে তৎপর রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক। 


তাহলে কি গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পাল্টা হিসেবেই চণ্ডীপাঠকে বেছে নেওয়া হল? অখিল গিরি তা মানতে না চাইলেও, এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


অনুষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনা করতে, এ দিন বিধানসভায় পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের প্রতিনিধিরা। ছিলেন অখিল গিরিও। ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ'। গীতাপাঠের পাল্টা ২২ ডিসেম্বরের চণ্ডীপাঠ? লোকসভা ভোটের আগে বাংলা জুড়ে ধর্মের রাজনীতি? বঙ্গ ভূমিতে এখন রাজনীতি আর ধর্ম মিলেমিশে এক। এখন কে ধর্মের রাজনীতির ডিভিডেন্ট বেশি তোলে সেটাই দেখার।