নয়াদিল্লি: সাগরে ঘনাচ্ছে সাইক্লোন 'শক্তি', চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। আরব সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'এই নিয়ে টানা ৪ বছর ভারতের নিরাপদতম শহর কলকাতা ' ! BJP শাসিত শহরগুলির কী হাল ? মেয়র বললেন..

Continues below advertisement

আজ শনিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ৬ ঘণ্টায় ১৩ কিমি গতিবেগে আরবসাগরের পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। গুজরাত-মহারাষ্ট্র সমুদ্র উপকূলে উত্তাল হবে সমুদ্র। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি থাকবে। তবে ধীরে ধীরে তা ৬৫ কিমি গতিবেগেও পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে আইএমডি। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষত মুম্বই, থানে, পালঘর,রায়গড়, রত্নাগিরি-সহ একাধিক জায়গায় প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যের সরকার যাবতীয় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা টিমও।আবহাওয়া দফতরের তরফে ওই নির্দিষ্ট উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দা এবং মৎস্যজীবীদেরও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের কিছু  এলাকা বিশেষ করে পূর্ব ভিদরভা, মরাঠওয়াড়ার কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। এখানেই শেষ নয়, উত্তর কঙ্কণ উপকূলবর্তী নীচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে বলে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই দুর্যোগের ঘনকালো মেঘ ইতিমধ্যেই জমাট বেধেছে ওই এলাকাগুলিতে।

দুর্যোগে কী কী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। যে যে এলাকাগুলির উপর এই ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' প্রভাব ফেলতে পারে অর্থাৎ ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সকল জায়গায় আগাম সমস্যা সমাধানের উপায়ও প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ঝড় চলে যাবার পর, যত দ্রুত সম্ভব যাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, সেই সকল যাবতীয় প্ল্যানও প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশ, আরব সাগরের একটি বড় অংশে, বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি শুরু হলে তার দিকে কড়া নজর রাখে ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (India Meteorological Department)। এই ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করা হয়। আবহাওয়া দফতরগুলির একটি মঞ্চ থেকে নাম ঠিক করা হয়। সেই মঞ্চে রয়েছে- ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মলদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেন। ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বা ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলির নাম ঠিক করার জন্য ২০০০ সালে ওমানের মাস্কটে World Meteorological Organisation-এর অধিবেশনে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ-সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখনই সবকটি দেশ মিলে একটি তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ঝড়ের নাম। আয়লা, আমপান, বুলবুল, হুদহুদ, ফণী, অশনি, সিত্রাং, মোকা-এই সবকটি নামই এমন ভাবে এসেছে। কোন বছরে কত নম্বর ঘূর্ণিঝড়ের কী নাম হবে তা ইতিমধ্যেই তৈরি। এবার  এই ঘূর্ণিঝড় শক্তির নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা।