নয়াদিল্লি: গোয়া উপকূলে আছড়ে পড়ল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তওতে। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে গোয়াতে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আগে থেকেই গুজরাত ও দিউ উপকূলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। 


নিম্নচাপের জেরে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে কর্নাটকেও। কর্ণাটকের ৬টি জেলায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৭৩টা গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত। । প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঝোড়ো হাওয়া। নিম্নচাপের কারণে কেরলে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। কেরলে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। গতকাল রাত থেকে মুম্বই জুড়ে বইতে শুরু করেছে ঝোড়ো হাওয়া। সতর্কতা অবলম্বনে মুম্বইয়ের কোভিড হাসপাতাল থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রোগীদের। সব মিলিয়ে ৫৮০ জন রোগীকে কোভিড কেয়ারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। রাজ্যের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুপুর থেকে ভয়ঙ্কর আকার নেবে ঘূর্ণিঝড়। রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। যার অর্থ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে রাজ্যজুড়ে। আজ রবিবার এবং আগামীকাল সোমবার কঙ্কন, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের পার্বত্য এলাকা, কোলহাপুর, সাতারা অঞ্চলে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।


মৌসম ভবনের পূর্ভাবাস অনুযায়ী, ১৮ মে অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যেই গুজরাতে আছড়ে শক্তিশালী তাওকত। আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হবে এই ঘূর্ণিঝড়। রাজকোট, দিউ, আম্রেলি, দ্বারকা, পোরবন্দর এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে কংগ্রেস কর্মীদের এই সময়  সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিতে বলেছেন রাহুল গাঁধী। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, সাইক্লোন তাওকত ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে। সতর্ক থাকতে সব ধরনের নিয়ম মেনে চলুন। কংগ্রেস কর্মীদের কাছে আমার আবেদন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।


ইতিমধ্যে প্রস্তুত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।  ৫ রাজ্য গুজরাত, মুম্বই, কেরল, তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে মোতায়েন করা হয়েছে ৫৩টি দল। যার মধ্যে ২৪ বাহিনীকে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে। ২৯ বাহিনীকে পরিস্থিতি বুঝে মোতায়েন করা হবে।