দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কোথাও ভেঙেছে বাঁধ। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যাচ্ছে। দিশেহারা অবস্থা সাধারণ মানুষের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখনও বিপর্যস্ত নামখানা, পাথরপ্রতিমা, ফ্রেজারগঞ্জ-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামে ঢুকছে জল। চিন্তায় গ্রামের বাসিন্দারা। নামখানায় দুর্গতদের উদ্ধার করল এনডিআরএফ। এদিকে, ফ্রেজারগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। ইয়াস আছড়ে পড়ার পর এই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
সুন্দরবন। জল, জঙ্গল, ম্যানগ্রোভের রাজত্ব,বাঙালির অন্যতম প্রিয় উইকেন্ড ডেস্টিনেশন। সেই সুন্দরবন জুড়ে এখন শুধু ইয়াসের দগদগে ক্ষত। গোসাবা থেকে পাখিরালয়, ঝড়খালি থেকে কুমীরমাড়ি। যেদিকে চোখ যায় শুধুই জল আর জল। একাধিক জায়গায় জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে নদী বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকছে। ১৫-২০টি গ্রাম জলের তলায়। গোসাবা, পাখিরালয়ের নিচু এলাকার বেশিরভাগ একতলা বাড়িতে জল ঢুকে গেছে।
তবে সুন্দরবনই নয়, একাধিক জায়গায় এই ছবি। নামখানা থেকে পাথরপ্রতিমা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখনও ইয়াসের প্রভাব। নামখানায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামে ঢুকছে জল। বহু মানুষ আটকে পড়েন। উদ্ধারকাজে নামে এদিন এনডিআরএফ। এখনও জলমগ্ন কাকদ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা। ত্রাণ শিবিরের থাকা গ্রামবাসীরা আজ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু জল না কমায় তা সম্ভব হয়নি। গতকাল রাতে পাথরপ্রতিমায় পাখিনালা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করে লক্ষ্মী জনার্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্লাবিত ওই এলাকার ২টি গ্রাম।
ইয়াসের তাণ্ডবের জেরে আজও গোসাবার গোমর, বিদ্যাধরী ও দুর্গাদোয়ানি নদীর বাঁধ ভাঙা জল ঢুকছে একের পর এক গ্রামে। প্লাবিত রাঙাবেলিয়া, গোসাবা ও লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০-২২টা গ্রাম। হু-হু করে ঢুকছে জল। গৃহহীন অসংখ্য মানুষ। গোসাবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি গ্রাম জলের তলায়। পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের দেখা মেলেনি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পানীয় জল ও রান্নার জন্য পুকুরের জল ব্যবহার করছেন গ্রামবাসীরা।