নিউ দিল্লি : অ্যান্টিবডি ককটেল প্রয়োগে সেরে উঠলেন কোভিড আক্রান্ত। দেশে এই প্রথম। ৮৪ বছরের ওই রোগী মহব্বত সিং গুরুগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর শরীরে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছিল। সুস্থ হওয়ার পর তিনি বাড়িও ফিরে গিয়েছেন বলে গতকাল জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


মহব্বত সিং-ই প্রথম কোভিড আক্রান্ত যাঁর শরীরে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। মঙ্গলবার মেদান্ত হাসপাতালে Casirivimab ও Imdevimab-এর ককটেল প্রয়োগ করা হয় তাঁর শরীরে। এরপর তিনি পর্যবেক্ষণে ছিলেন। হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান, গতকাল তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, মৃদু উপসর্গ থাকলে এই ককটেলের প্রয়োগ কোভিড আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। 


হাসপাতালের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, Casirivimab ও Imdevimab-এর অ্যান্টিবডি ককটেল দেশে পাওয়া যাচ্ছে। মৃদৃ উপসর্গ রয়েছে এমন কোভিড আক্রান্তের পরিস্থিতি খারাপ হওয়া বা হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এই সিঙ্গল ডোজ ইনফিউসন-বেসড ট্রিটমেন্টের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া(DCGI)।


হাসপাতালের তরফে আরও বলা হয়েছে, অ্যান্টিবডি এক ধরনের প্রোটিন। যা শরীর রোগ প্রতিহত করতে নিজে থেকে তৈরি করে। সেরকমই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিও এক ধরনের অ্যান্টিবডি। যা কৃত্রিমভাবে ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে।  Casirivimab ও Imdevimab হচ্ছে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। যা নির্দিষ্টভাবে SARS-CoV-2 প্রোটিনের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়। এই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি SARS-CoV-2-এর মানব কোষে প্রবেশ আটকায়।


বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কোভিডে ঝুঁকি রয়েছে এমন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই থেরাপি সবথেকে প্রযোজ্য। ঝুঁকি বলতে এখানে- যাঁদের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কিডনি(ডায়ালিসিস চলছে এমনও) ও লিভারের সমস্যা, অথবা ৫৫ বছরের বেশি বয়সিদের যাঁদের হার্টের সমস্যা আছে, হাইপারটেনসন বা ফুসফুসের সমস্যা আছে-এমন মানুষদের কথা বলা হয়েছে।


তবে হাসপাতালে তরফে এও বলা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের নিজেদের চিকিৎসদের সঙ্গে কথা বলা দেখতে হবে যে তাঁদের ক্ষেত্রে মোনোক্লোনল অ্যান্টিবডি থেরাপি উপকারে আসবে কি না ?