কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ার পরেই কলকাতায় টর্নেডোর আশঙ্কা। নবান্ন সূত্রে খবর, আঞ্চলিকভাবে আছড়ে পড়তে পারে টর্নেডো। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কলকাতার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, খবর নবান্ন সূত্রে। 


ইয়াস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই গতকাল বিকেলে হঠাৎ ঝড় শুরু হয় ব্যান্ডেলে। তছনছ ব্যান্ডেলের একাংশ। এরপরে গঙ্গা পেরিয়ে ঝড় আছড়ে পড়ে হালিশহরে। বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে ঝড় শুরু হয়। এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এবার আঞ্চলিকভাবে টর্নেডো আছড়ে পড়তে পারে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। 


সবাই যখন ইয়াসের ধাক্কা সামলাতে প্রস্তুত, তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভয়ঙ্কর ঝড়ের সাক্ষী থাকল গঙ্গার দুই পার। হুগলির ব্যান্ডেল হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে সেই ঝড় তাণ্ডব চালায় উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরেও। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটেয় হঠাৎই আকাশ কালো করে ঘূর্ণিঝড় এসে হাজির হয় ব্যান্ডেলে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের তাণ্ডবে ব্যান্ডেল চার্চ লাগোয়া একাধিক দোকানের ক্ষতি হয়েছে। কিছু, দোকান উল্টে খালে পড়ে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি বাড়িরও। ঝড়ের ঝাপটায় বেসামাল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর। কার্যত তছনচ হয়ে যায় জেঠিয়া পঞ্চায়েতের বালিভরা এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্তত ২০টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু জায়গায় লাইটপোস্ট উপড়ে পড়েছে। এবার সেই আশঙ্কা শহর কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।


এরপর সন্ধে নাগাদ বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ‘হালিশহর, চুঁচুড়ায় টর্নেডোতে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি জানান, প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান নবান্নের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না।