কলকাতা: ইয়াস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই হঠাৎ ঝড় ব্যান্ডেলে। বিকেলে ঝড়ের তাণ্ডব। তছনছ ব্যান্ডেলের একাংশ। এরপরে গঙ্গা পেরিয়ে ঝড় আছড়ে পড়ে হালিশহরে। বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে ঝড় শুরু হয়। ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঝড়ে ইতিমধ্যেই ৪,৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানানো হয়েছে এই ঝড়ের কোনও পূর্বাভাসই ছিল না নবান্নের কাছে। 


এদিন সন্ধে নাগাদ বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘হালিশহর, চুঁচুড়ায় টর্নেডোতে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 
তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


পাশাপাশি কাল সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ইয়াসের ল্যান্ডফল হবে জানিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন বৈঠকে মমতা ফের বলেন, ' যতক্ষণ ঝড়ের প্রভাব থাকবে বাড়ি থেকে বেরোবেন না। রাতে নবান্নের ওয়াররুম থেকেই নজর রাখা হবে।’


সবাই যখন ইয়াসের ধাক্কা সামলাতে প্রস্তুত, তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভয়ঙ্কর ঝড়ের সাক্ষী থাকল গঙ্গার দুই পার। হুগলির ব্যান্ডেল হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে সেই ঝড় তাণ্ডব চালাল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরেও। 


এদিন দুপুর সাড়ে তিনটেয় হঠাৎই আকাশ কালো করে ঘূর্ণিঝড় এসে হাজির হয় ব্যান্ডেলে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের তাণ্ডবে ব্যান্ডেল চার্চ লাগোয়া একাধিক দোকানের ক্ষতি হয়েছে। কিছু, দোকান উল্টে খালে পড়ে যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ পড়ে ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি বাড়িরও।


ঝড়ের ঝাপটায় বেসামাল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর। কার্যত তছনচ হয়ে যায় জেঠিয়া পঞ্চায়েতের বালিভরা এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্তত ২০টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু জায়গায় লাইটপোস্ট উপড়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইয়াসের আগেই, হঠাৎ এই ঝড়ের পূর্বাভাস ছিল না নবান্নর কাছেও। 


এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'দুটো ঘটনা ঘটেছে। যেটা হিসেবের মধ্যে ছিল না। হালিশহরে দেড় মিনিটের ঝড় হয়েছে। চুঁচুড়ায় হয়েছে। হালিশহরে ৪০টি বাড়ি পার্টলি ড্যামেজ। লোকাল পঞ্চায়েত অ্যাটেন্ড করেছে। লোকাল স্কুলে স্থানীয়দের সরানো হয়েছে। ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। চুঁচুড়াতেও একটা ঘটনা হয়েছে। দোকান বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। দু’জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে।'