মোহালি: দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ফের ময়দানে নামল প্রীতি জিন্টা-নেস ওয়াদিয়ার দল পঞ্জাব কিংস। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনতে বড়সড় আর্থিক অনুদান করল পঞ্জাব।


করোনার ধাক্কায় মাঝপর্বে আইপিএল স্থগিত করে দিতে হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সময়ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে আইপিএল শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও তা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। অনেকেই বলেছিলেন, অতিমারীতে যেখানে জনজীবন বিপর্যস্ত, সেখানে এত টাকা খরচ করে আইপিএল আয়োজন কেন! শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ৮ দলের মধ্যে চার দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফেরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আইপিএল স্থগিত করে দিতে হয়। তবে সব দলই করোনা যুদ্ধে বড়সড় অনুদান করে যেন দেখিয়ে দিয়েছে যে, ক্রিকেট জনজীবন থেকে কখনও খুব একটা দূরে নেই।


পথ দেখিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। ভারতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা অনুদান করেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অস্ট্রেলীয় তারকা পেসার। তারপর ব্রেট লি, শেলডন জ্যাকসন, শ্রীবৎস গোস্বামী বা দল হিসাবে রাজস্থান রয়্যালস করোনা যুদ্ধে অর্থ সাহায্য করেছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পঞ্জাব কিংসে খেলা এক বিদেশি ক্রিকেটারও। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান। পঞ্জাব কিংসের তারকা জানিয়েছিলেন, আইপিএল খেলে তিনি যে টাকা পাচ্ছেন, তার একটা অংশ দান করবেন ভারতের করোনা যুদ্ধে। আইপিএলের নিলামে পুরানের বেসপ্রাইস বা ন্যূনতম দর ছিল ৭৫ লক্ষ টাকা। তাঁকে নিয়ে দর কষাকষি করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও পঞ্জাব কিংস। শেষ পর্যন্ত ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে দলে নেয় পঞ্জাব। সেই অর্থ থেকেই একটা অংশ ভারতের করোনা যুদ্ধে দান করবেন বলে জানিয়েছিলেন পুরান।


পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব কিংস। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ক্রয়ের জন্য অর্থ অনুদান দিয়েছিল পঞ্জাব কিংস। এবার ফের অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা সচল রাখতে উদ্যোগী হল তারা।