পশ্চিম মেদিনীপুর: এবিপি আনন্দের খবরের জের। সবং গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ২৯ ঘণ্টা পর সরানো হল করোনা রোগীর মৃতদেহ। অভিযোগ, মৃত্যুর পর থেকে হাসপাতালের একটি ঘরে পড়েছিল মৃতদেহ। শববাহী গাড়ি বিকল হওয়ায় দেহ সরাতে দেরি হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, ডেথ সার্টিফিকেট চলে যায় মৃতের পরিজনেরা। এরপর পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয়নি।
দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি। দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। চিতার আগুন নিভছে না। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে গঙ্গা-যমুনায় ভাসছে মৃতদেহ। এর মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরে সামনে এল এক চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনা।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের বুড়াল অঞ্চলের বাড়জগু এলাকার বাসিন্দা দিলীপ আদকের করোনায় মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকদিন তিনি বাড়িতে অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে। তারপরেই তাঁকে ভর্তি করা হয় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই করোনা পরীক্ষা হলে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় দিলীপ আদকের।
করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পরও ২৯ ঘণ্টা পড়ে মৃতদেহ। এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারিতে হতেই টনক নড়ল হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত দিলীপ আদকের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার মৃত্যু হলেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের একটি ঘরেই পড়েছিল মৃতদেহ। হাসপাতালের তরফে মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থায় নেওয়া হয়নি। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ দাস বলেন, করোনা রোগী পড়ে আছে , অথচ কোনও ব্যবস্থায় নেওয়া হয়নি। এলাকায় আতহ্ক ছড়াচ্ছে। অভিযোগ মেনে নিলেও, শববাহী গাড়ি বিকল হওয়ায় মৃতদেহ সরাতে দেরি হয়েছে বলে সাফাই দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সবংয়ের বিএমওএইচ-এর সুভাষ কাণ্ডারের দাবি, গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ে যাওয়া যায়নি। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে চলে যায় মৃতের পরিজনেরা। এরপর পরিবারের তরফে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। বজবজের পর এবার সবং। এখানেও করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ ছেড়ে চলে গেলেন আপনজনরা।