কলকাতা: মৃত্যু, শোক, আতঙ্ক। ভয়াবহ চেহারায় ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি, সপ্তাহের শুরুতে সোমবার যেখানে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৫, সেখানে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০। আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ১৩১। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় চারজনের। সিএমআরআই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৫৪ বছরের মিতা চৌধুরীর। বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডোমজুড়েও ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় সুলতা নস্কর নামে এক মহিলার। শুক্রবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বানতলার বাসিন্দা শাকিলা গাজির।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে সাইনা খাতুন নামে ১০ বছরের শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর নিয়ে কয়েকদিন আগে ওই শিশুটি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গতকাল মৃত্যু হয় তার। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

সব সরকারি হাসপাতালেই এখন ডেঙ্গি ও জ্বরের রোগীর উপচে পড়া ভিড়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে শুক্রবার বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তির জন্য অপেক্ষা অপেক্ষা করতেই এক রোগীর মৃত্যু হয়। ছোট জাগুলিয়ার বাসিন্দা, ৩৪ বছরের মেকাইল মণ্ডল তিন-চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে প্রথমে বারাসাত সদর হাসপাতাল ও পরে বেলেঘাটা আইডি-তে রেফার করা হয়। মেকাইলের স্ত্রীর দাবি, বেলেঘাটা আইডি-র ভর্তির জন্য তাঁদের প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতক্ষণ চিকিৎসা না পেয়ে, স্ট্রেচারে কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মেকাইল।

নভেম্বর পড়তে চলল। কিন্তু, নিস্তারের পরিবর্তে ডেঙ্গি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে!