নয়াদিল্লি: টিকাকরণের অনিশ্চয়তা দূর করতে টাইমলাইন তৈরি হবে। বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবিলায় ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে তিনি বলেন, টিকা সরবরাহের টাইমলাইন তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে টিকাকরণের অনিশ্চয়তা দূর হবে। টিকাকরণের ক্যালেন্ডার নিয়ে প্রচার করা হবে।


এদিন করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সহ ৯ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবরা। ছিলেন জেলা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। এদিন তিনি বলেন, যখন সংক্রমণের হার কম থাকে তখনও কঠিন চ্যালেঞ্জ করোনা। সাধারণ মানুষকে করোনা-বিধি সম্পর্কে সচেতন রাখা প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ। মহামারী মোকাবিলায় সবসময় সচেতন থাকতে হবে।


এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, টিকার অপচয় বন্ধ করাও ভীষণ জরুরি। ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্যগুলিকে ১৫ দিনের আগাম তথ্য দেবে কেন্দ্র। তৈরি হবে টিকা নীতি। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকায় সঠিক ভাবে উদ্যোগ নিলে করোনা রোখা সম্ভব। সংক্রমণ রুখতে গ্রামে পরীক্ষা বাড়ানোয় জোর দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, টিম তৈরি করে গ্রামে কাজ করতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা রয়েছে। আক্রান্তর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।


উল্লেখ্য, ১ মে থেকে দেশেজুড়ে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য অভিযোগ করেছে, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে অনেকের। এবার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পালা। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময় হয়ে গেলেও এখনও ডোজ নিতে পারছেন না অনেকেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রোজ রোজ খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। এরাজ্যে কলকাতা থেকে দেগঙ্গা। রাজ্যজুড়ে অব্যাহত ভ্যাকসিন দুর্ভোগ। কোথাও লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। কোথাও আবার ভ্যাকসিনের লাইনেই তুমুল বচসা, হাতাহাতি। গত কয়েকদিন ধরেই এহেন ছবি সামনে এসেছে।


প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এদিন তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা মানলে, দেশে ভ্যাকসিন দিতে ১০ বছর লাগবে। এখন ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ভ্যাকসিন চাইছি। তিন কোটি ভ্যাকসিন দিতে বলেছিলাম, কমিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্র অক্সিজেন দিচ্ছে না, রেমডিসিভির কেন বাজারে নেই? প্রশ্ন মমতার। মমতার অভিযোগ, সব কেন্দ্রের হাতে, কোনও রাজ্যকে পয়সা দিচ্ছে না। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিলেই, সবাই পেত নিখরচায় ভ্যাকসিন।